ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আঙ্কারায় রুশ রাষ্ট্রদূতকে হত্যাকারীর পরিচয় প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

আঙ্কারায় রুশ রাষ্ট্রদূতকে হত্যাকারীর পরিচয় প্রকাশ

তুরস্কের আঙ্কারায় একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রুশ রাষ্ট্রদূতকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার পর পিস্তল হাতে সুবেশী এক তুর্কি তরুণের ছবি ছাপা হয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকায়। মেভলুত মের্ত আলতিনতাস (২২) তুর্কি দাঙ্গা পুলিশের একজন সদস্য। সোমবার সন্ধ্যায় ডিউটিতে না থাকলেও আলতিনতাস পুলিশের পরিচয়পত্র দেখিয়েই ওই গ্যালারিতে ঢোকেন, অবস্থান নেন রুশ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কার্লভের কাছাকাছি। রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতার এক পর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই পেছন থেকে তাকে কয়েকটি গুলি করেন আলতিনতাস। অস্ত্র হাতে চিৎকার করে নিজের বক্তব্য জানানোর কিছু সময় পর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হন তিনি। খবর বিবিসির। তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে জুলাইয়ের পর থেকে গত মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন আলতিনতাস। তুরস্কের সরকার সমর্থিত গণমাধ্যমগুলো ওই অভুত্থান চেষ্টার পর আলতিনতাসের নেয়া তিন দিনের ‘জরুরী ছুটির’ নথিও প্রকাশ করেছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু জানিয়েছেন, ১৯৯৪ সালে পশ্চিম তুরস্কের রক্ষণশীল এইডিন প্রদেশের সোকি শহরে আলতিনতাসের জন্ম। পড়ালেখা করেন উত্তরের শহর ইজমিরের পুলিশ কলেজে। তুরস্কের পুলিশ বিভাগে তিনি কাজ করছিলেন আড়াই বছর ধরে। সিরিয়ার আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারী বাহিনীর অভিযানে রাশিয়ার সমর্থনই আলতিনতাসকে এই হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত করেছে, নাকি তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর কোন ‘চক্রান্তের’ ঘুঁটি তিনি- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। সোমবার ওই গ্যালারিতে হামলার আগে আলতিনতাস নিখুঁতভাবে দাড়ি কামিয়ে, স্যুট-টাই পরে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি হোটেল থেকে বের হন। প্রদর্শনীতে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর তাকে আটকে দিলেও পুলিশের পরিচয়পত্র দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ছেড়ে দেয়। রুশ রাষ্ট্রদূতের পেছনে দাঁড়িয়ে মোট ১১টি গুলি চালান আলতিনতাস। এর নয়টি রাষ্ট্রদূতকে লক্ষ্য করে, বাকি দুটি শূন্যে। গুলি করার পর ভাঙ্গা আরবী উচ্চারণে চিৎকার করে আলতিনতাস বলতে থাকেন- আমরা মুহাম্মদের অনুসারীরা যতক্ষণ জীবিত আছি ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ চলবে। কথার শুরুতে ও মাঝে কয়েক দফা তাকে চিৎকার করে ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে শোনা যায়।
×