ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি, মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড

চেনা প্রতিবেশীর ওয়ানডে লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬

চেনা প্রতিবেশীর ওয়ানডে লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে এ বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের এটি পঞ্চম সিরিজ। দুই তাসমান প্রতিবেশীর ব্যাট-বলের লড়াই দেখে তৃপ্ত ক্রিকেটবিশ্ব। আমাদের আফসোস হয়, ইস্ ভারত যদি আন্তরিক হতো। বিভূইয়ে পাকিস্তানকে টপকে এই অঞ্চলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথই হয়ে উঠত সবচেয়ে আকর্ষণীয়। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ১৯৭৪ সালে প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়। আর ২০০৪ সালে সেটি ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি’ নামে প্রবর্তিত হয়। তিন ম্যাচের পঞ্চাশ ওভারের দ্বৈরথে মুখোমুখি ধুরন্ধর দুই প্রতিপক্ষ, যারা সর্বশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল। স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে স্বাগতিক অসিদের সামনে এবার ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি’ পুনরুদ্ধারের মিশন, অন্যদিকে টানা তৃতীয়বারের মতো এটি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। ঐতিহাসিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম ওয়ানডে শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া নয়টায়। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ তিনটি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়। বড় তারকা ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের বিদায়ী সেই সিরিজ ২-১এ জিতে নেয় স্বাগতিক কিউইরা। এ পর্যন্ত মোট ৯টি ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফির’ ৪টিতে জয়ী অস্ট্রেলিয়া, ৩টিতে নিউজিল্যান্ড, বাকি ২টি ড্র হয়। শেষ দুটিতে জয়ী কিউইরা। অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেন, ‘সিরিজ জয়ের লক্ষ্যেই আমরা এখানে এসেছি। অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল। কাজটা তাই সহজ হবে না। মাঠে সেরা পারফর্মেন্স করতে হবে। আমাদের দলে বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড় নেই। তবে যারা আছে, তাদের নিয়েই পরিকল্পনা সাজিয়েছি। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া এখন বেশ ক্ষুধার্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের পর টেস্ট সিরিজও হারে তারা। তাই অস্ট্রেলিয়া চাইবে এই সিরিজ দিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরতে। আমরাও প্রস্তুত।’ সত্যি অসিরা পাহাড় সমান চাপ নিয়ে এই সিরিজ শুরু করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডেতে ৫-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ ও টেস্টে ২-১ ব্যবধানে হারে স্মিথরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই সিরিজেই হারও তাদের সঙ্গী। তাই চাপকে সঙ্গী করেই সিরিজ শুরু করতে হচ্ছে। বিষয়টি অধিনায়কেরও বেশ ভালই জানা, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে পারছি না। তবে এসব নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত নই। কারণ, আমরা জানি ভাল খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্টে তার প্রমাণ আমরা দিয়েছি। আশা করছি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াবে দল।’ বলেন স্মিথ। ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি’ পুনরুদ্ধারের কথাও বললেন স্মিথ, ‘এই দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাকর। গেল দু’বারই আমরা সিরিজ হেরেছি। তবে এবার এই ট্রফি পুনরুদ্ধার করতে চাই। সিরিজ জয়ের জন্য পুরো দল মুখিয়ে আছে। উজাড় করে দিয়ে সিরিজ জয়ের জন্যই মাঠে নামব আমরা।’ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডেতে সবসময়ই শক্তিশালী। বর্তমানে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অসিরা। আর তৃতীয়স্থানে নিউজিল্যান্ড। তবে ৩-০ ব্যবধানে এই সিরিজটি জিততে পারলেই শীর্ষে উঠবে নিউজিল্যান্ড। চাপে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উইলিয়ামসনের দল সেটিই করতে চাইবে। এ পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৩০ বার মুখোমুখি হয়েছে গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে ৮৭ ম্যাচে জয় পায় চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আর ৩৭ ম্যাচে জয় রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। কোন ম্যাচ টাই না হলেও, ৬টি হয়েছে পরিত্যক্ত। সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে মঙ্গল ও শুক্রবার।
×