ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাবি মেডিক্যাল সেন্টারে হ-য-ব-র-ল অবস্থা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

শাবি মেডিক্যাল সেন্টারে হ-য-ব-র-ল অবস্থা

শাবি সংবাদদাতা ॥ ডাক্তার ও নার্সদের দায়িত্বে অবহেলা, এ্যাম্বুলেন্স সঙ্কট, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে। মেডিক্যাল সেন্টারের জন্য প্রতি তিন মাসে এক লাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকার ওষুধ বরাদ্দ থাকলেও তা প্রকৃতপক্ষে কোথায় খরচ হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ‘প্যারাসিটামল সেন্টার’ নামে খ্যাত এই মেডিক্যাল সেন্টার এখন নিজেই রোগী। চরম অব্যবস্থাপনা ও বেহালদশার ফলে মেডিক্যাল সেন্টার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, মেডিক্যাল ফি বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ছয় মাসে শতাধিক টাকা দিচ্ছেন। অথচ তীব্র ওষুধ সঙ্কট বিরাজ করছে মেডিক্যাল সেন্টারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৩ হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিপরীতে প্রতি তিন মাসে সেন্টারটিতে মাত্র এক লাখ ৫৫ হাজার টাকার ওষুধ সরবরাহ করছে। সে হিসেবে প্রত্যেকের জন্য প্রতি মাসে বরাদ্দ থাকছে চার টাকার ওষুধ। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এমনকি সেন্টারটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রায়ই সরবরাহ করা হয় বলে বহুদিনের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়, পরিবহনের কাজে দীর্ঘদিন থেকে ভাঙ্গাচোরা একটিমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারকেও জরুরী মুহূর্তে পাওয়া যায় না। বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসারদের ডিউটি তালিকা অনুযায়ী দুই শিফটে বসে ডাক্তাররা। এর মধ্যে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটার শিফটে পাঁচ ডাক্তারের কেউই নয়টার আগে অফিসে আসে না। নয়টায় এলেও চলে যায় একটার আগে। অন্যদিকে দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিকেলের শিফটে সাতটার পরে কেউ থাকে না। জরুরী সময়ে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও মেডিক্যালে থাকে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। মেডিক্যালের ড্রেসিংরুমকে অস্থায়ী জরুরী বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স ও নার্সিং সহকারী না থাকায় ড্রেসিং প্রায় সময়ই করানো হয় পিয়ন ও অফিস সহকারী দিয়ে।
×