ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চলাচল অযোগ্য বাগেরহাট খুলনা সড়কের একাংশ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

চলাচল অযোগ্য বাগেরহাট খুলনা সড়কের একাংশ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের অত্যন্ত ব্যস্ততম টাউন নওয়াপাড়া-কাটাখালী অংশ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন এমনকি পথচারী চলাচলেও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহনের চালক ও পথচারীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার। সওজ বিভাগ বছরের পর বছর রিপিয়ারিংয়ের নামে জোড়াতালি ও পুটিং দিয়ে লাখ লাখ টাকার অপচয় করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না, বরং ভোগান্তি আরও বাড়ে। একই সঙ্গে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটিও মারত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অবস্থা এতই শোচনীয় যে, যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশাঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, যশোর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত বাস, মিনিবাস, ট্রাক, পরিবহন চলাচল করে। অথচ গত কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কের নওয়াপাড়া-কাটাখালী পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ভেঙ্গেচুরে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি-কাদা আর শুকনা মৌসুমে ধুলাবালুতে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বড় বড় গর্ত আর ভাঙ্গাচোরার ফলে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানবাহন নষ্ট হয়ে পড়ছে। আর এ কারণে সড়কটিতে প্রায়ই তীব্র যানজট লেগে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শত শত যানবাহন আটকা পড়ে থাকায় কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। মহাসড়কটির বর্তমান অবস্থা এতই করুণ হয়েছে যে, এটি দিয়ে কোন চালক তাদের গাড়ি নিয়ে সহসা আসতে চায় না। তাই কোন কোন যানবাহন বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। আর বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করার ফলে এলজিইডির নতুন রাস্তাগুলো ভেঙ্গেচুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন এ সড়কে প্রায় অর্ধশত যানবাহন কোন না কোন কারণে বিকল হয়ে পড়ে। তখন চালক বা হেলপাররা গাড়ির নিচে নেমে মেরামত করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
×