ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শরীর ঠাণ্ডা রাখবে প্লাস্টিকের কাপড়

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

শরীর ঠাণ্ডা রাখবে  প্লাস্টিকের কাপড়

বিশ্বে উৎপাদিত বিদ্যুতের একটা বড় অংশ খরচ হয় বাড়িঘর গরম ও ঠা-া করার কাজে। কিন্তু শরীরে জড়ানো অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যের পোশাকই যদি মানুষের শরীরে শীতল অনুভূমি জাগাতে পারে, তাহলে মন্দ হয় না। এই ধারণা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক প্লাস্টিক দিয়ে এমন এক কাপড় তৈরি করেছেন, যা দিয়ে বানানো পোশাক পড়লে আপনাকে দেবে প্রশান্তিময় অনুভূতি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ম্যাটারিয়াল সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফোটন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক উই চি ও সাঙহুই ফ্যান দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে এই কাপড় তৈরি করেছেন। গবেষণায় তারা অনেক কম মূল্যের প্লাস্টিক ব্যবহার করেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, সুতি কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকের চেয়ে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই কাপড়ের পোশাক শরীরে ৪ ডিগ্রী ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি শীতল অনুভূতি জাগাতে পারে। বিজ্ঞানীদের এ সংক্রান্ত গবেষণাটি সম্প্রতি জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই কাপড়ের পোশাক পড়লে ঠিক নতুন উপায়ে শরীর ঠা-া হবে। তারা বলছেন, এই কাপড় পড়লে আপনার শরীর ঘামা শুরু করবে। এই ঘামের অপ্রয়োজনীয় অংশ বাষ্প আকারে বের হয়ে যাবে। আর বাকি অংশ শরীরকে ঠা-া করা শুরু করবে। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটারিয়াল সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক উই চি বলেন, একজন মানুষের জন্য বাসস্থান ও অফিস ঠা-া রাখতে অনেক বিদ্যুতের অপচয় হয়। কিন্তু আমরা এই বিদ্যুত শক্তি সাশ্রয়ের জন্য চিন্তা করছিলাম। সেই চিন্তা থেকেই আমরা এই গবেষণা কাজে হাত দেই। তিনি বলেন, আমাদের তৈরি এই কাপড় বাজারে প্রচলিত অন্যান্য কাপড়ের মতোই। এটি অত্যন্ত পাতলা ও আরামদায়ক। এই কাপড়ের পোশাক পড়লে শরীর থেকে বেড় হওয়া তাপ ইনফ্রারেড বিকিরণ পদ্ধতির মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এই গবেষণা দলের সহ-প্রধান সাঙহুই ফ্যান বলেন, আমরা যখন অফিসে বা কোন কর্মস্থলে থাকি, তখন এই কাপড়ের সাহায্যে শরীরের অন্তত ৬০ শতাংশ তাপ ইনফ্রারেড বিকিরণের সাহায্যে বের করে দিতে পারি। আলো এবং অন্ধকারের মধ্যেও এই কাপড় সমানভাবে কার্যকরী বলে জানান তিনি। সাঙহুই ফ্যান আরও বলেন, আমরা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাওয়ার আগে এই কাপড়ের অন্যান্য দিক নিয়ে কাজ করব। Ñলাইফ সায়েন্স অবলম্বনে।
×