ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনাই হবেন দলের সভানেত্রী, তাঁর বিকল্প নেই ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৯ অক্টোবর ২০১৬

শেখ হাসিনাই হবেন দলের সভানেত্রী, তাঁর বিকল্প নেই ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ দলের ২০তম সম্মেলন ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আসন্ন সম্মেলনে দলের দুর্দিনের কা-ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই আবারও সভানেত্রী হবেন। তাঁর কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে যে নতুন কমিটি আসবে, সেই নেতৃত্বই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এদেশে এখন ডেথ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে, এর কোন বিকল্প নেই। সেই নির্বাচনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকেও তিনি অংশ নিতে আহ্বান জানান। তিনি শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে দলের এই সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর আসনের এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, আবু ইউসুফ সূর্য, কেএম হোসেন আলী হাসান, গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন, এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, মোস্তফা কামাল খান, এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, আব্দুস সামাদ তালুকদার ও আব্দুল বারী সেখ, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী প্রমুখ। মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের যে নতুন কমিটি নেতৃত্বে আসবে সেই নেতৃত্বের হাত ধরে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয়ী হবে। আগামী ২০১৯ সালের যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনসহ এ সরকারের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবারের সম্মেলন অন্যান্য সম্মেলনের চেয়ে আলাদা এবং গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির নেত্রী খালেদা জিয়ার দলকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাকে আর কোনদিন ভোট দেবে না মন্তব্য করে নাসিম বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকার। তাকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহতের নামে বিএনপি জামায়াত নিরীহ মানুষ খুন করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করেছেন। আর এ কারণেই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বর্ধিত জনসংখ্যার এই দেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের মানুষের গৌরবের এবং গর্বের। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাতে শারদীয় দুর্গোৎসবে যোগ দিয়ে বিভিন্ন ম-প পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সার্বজনীন দুর্গোৎসব যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এদেশে স্বৈরশাসকরা বার বার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনী মোস্তাক ও জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখল করে ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্ভব হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুযোগ পেয়েছে।
×