ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৪ অক্টোবর ২০১৬

জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ সরকার এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। সোমবার জাতীয় সংসদে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী আরও জানান, জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা ও চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানী বিনিয়োগের জন্য একটি ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। উক্ত ‘টাস্কফোর্স’-এর আওতায় ইতোমধ্যে ৩টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি জানান, দেশের শিল্পখাত বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মূলত: সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এর অংশ হিসেবে বিনিয়োগ প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বিনিয়োগ প্রচারের লক্ষ্যে সভা, সেমিনার আয়োজন ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিউজ লেটার, ব্রশিউর মুদ্রণ। কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য এক্সক্লুসিভ ইকোনমিকস জোন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় জাপান সরকার জাইকার মাধ্যমে ঢাকার সন্নিকটে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য প্রাক সম্ভাব্যতা জরিপ এবং প্রাথমিকভাবে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলায় জমি নির্বাচন করেছে। গাজীপুর জেলার নয়নপুর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব বেপজা গবর্নিং বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়েছে। জাপানী বিনিয়োগকারীরা প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশে অন্ততপক্ষে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচীর বাস্তবায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ সরকারী অর্থায়নে ১৯৯৬ সাল থেকে চলমান রয়েছে। কর্মসূচীর আওতায় সমতলের গারো, হাজং, রাখাইন, সাঁওতাল, ওঁরাও, মনিপুরি, মাহাতো, বর্মণ, কোচ, মু-া, কোল, পাহাড়ী, মালপাহাড়ী, মুরারি, ডালু, মালো, তুরি, বরাইক, রাজবংশী, পাহান, রাই, বুনো, রাজোয়ার, লহোরা ইত্যাদি জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তিনি জানান, গত ২০১০-১১ অর্থবছর হতে উক্ত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য বৃহৎ আকারের আয়বর্ধনমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিগত ৫টি অর্থবছরে ২৫০ উপজেলায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৩৯৪টি আয়বর্ধনমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
×