ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

টাইগারদের লক্ষ্য সিরিজ জয়

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৯ আগস্ট ২০১৬

টাইগারদের লক্ষ্য সিরিজ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর ইংল্যান্ডকেও ওয়ানডে সিরিজে হারাতে চায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড যে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আসবে বাংলাদেশে, সেই সিরিজেও জয় পেতে চায় মাশরাফিবাহিনী। সেই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন পেসার আল আমিন হোসেন। বলেছেন, ‘আমাদের সেরাটা দিতে হবে। সেরাটা যদি দিতে পারি শেষ কয়েক বছরে যেই ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছি সেটাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলতে পারব।’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সোনালী বছর হচ্ছে ২০১৫ সাল। এই বছরটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর এক এক করে পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ, ভারতকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারানো, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৮ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। ১৩টিতেই জেতে। আর হারে ৫টিতে। এর মধ্যে চার সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। টানা সিরিজগুলো জেতে। পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর জিম্বাবুইয়েকেও হারায় বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশ চাচ্ছে, ইংল্যান্ডকেও হারাতে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭, ৯ ও ১২ অক্টোবর যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজটিতে যদি জেতা যায়, তাহলে টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তাছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও মহাগুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সেই গত বছর নবেম্বরের পর থেকেই ওয়ানডে ম্যাচ খেলে না দল। দ্বিতীয়ত, টি২০ বিশ্বকাপের পরত দল কোন ম্যাচই খেলেনি। তৃতীয়ত, দল ওয়ানডেতে কেমন করে সেটিও দেখার বিষয়। অবশ্য ইংল্যান্ডের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হবে। সেই সিরিজেই বোঝা যাবে গত বছর সেরা সময় কাটানো বাংলাদেশ দল কতটা কি করতে পারবে। আল আমিন অবশ্য আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেয়ার কথাই জানালেন। সঙ্গে ইংল্যান্ডের আগমনের সংবাদটিকে স্বস্তি হিসেবেই দেখছেন, ‘এটা (ইংল্যান্ডের আগমন) টোটাল ক্রিকেটের জন্যই স্বস্তির খবর। কারণ আমরা টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের হয়ে একটি ম্যাচও খেলিনি। ইংল্যান্ড যদি না আসত তাহলে আমাদের অনেক ক্ষতি হতো। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড আসাতে আমাদের ভক্ত, সমর্থক আমরা যারা খেলোয়াড় তাদের সবার জন্য স্বস্তি যে আমরা আমাদের হোম গ্রাউন্ডে আবার জাতীয় দলের হয়ে খেলছি।’ আর আফগানিস্তানের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এখনও অফিসিয়ালি কোন কিছু জানি না যে আফগানিস্তান আসবে কি আসবে না। যদি আসে তাহলে চ্যালেঞ্জও বলতে পারেন আবার প্রস্তুতির ভাল মঞ্চও বলতে পারেন। ওরা ভাল ক্রিকেট খেলছে। অন্যদিকে আমরা অনেক দিন ক্রিকেট থেকে বাইরে। এ জন্য আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে আমরা ভাল। আমরা এক বছর ভাল ক্রিকেট খেলছি। আমাদের বিশ্বাস ওরা (আফগানিস্তান) আমাদের কাছে পাত্তাই পাবে না। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ওদের সব ম্যাচ হারানোর। যত ম্যাচ আছে সেগুলো ভাল করা। তাহলে ইংল্যান্ড আসার আগে বড় প্রাপ্তি হবে, অভিজ্ঞতা বাড়বে।’ পেস বোলিং নিয়ে আছে সমস্যা। মুস্তাফিজুর রহমান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারবেন না। তাসকিন আহমেদ বোলিং এ্যাকশনের জন্য পরীক্ষা না দেয়ার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। পেস বোলিং নিয়ে আল আমিন বলেন, ‘আসলে মুস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল ভাই কিংবা মাশরাফি ভাই ও আমি, যে যখন সুযোগ পাইছি তখন নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে রুবেল ভায়েই অনেকদিন বাইরে ছিল। আমার বিশ্বাস সে খুব স্ট্রংলি ফিরে আসবে। তাসকিনও ফিরে আসবে। যতটুকু ওর সমস্যা ছিল সেটা রিকোভার করছে। মুস্তাফিজের ছয় মাস সময় লাগবে। এ জায়গায় তাসকিন, রুবেল ভাই, মাশরাফি ভাই কিংবা আমি যেই থাকি না কেন খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কিন্তু আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’ বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশে আসার সবুজ সঙ্কেত দেয়। শুক্রবার স্বস্তির নিঃশ্বাস সবাই ফেলে। শুক্রবারের পর কী দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসছে? ৬ টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে ও ২৫ টি২০ খেলা আল আমিন বলেন, ‘ও রকম কোন পরিবর্তন নেই। আমাদের বিশ্বাস ছিল ওরা আসবে। অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ যখন হয়েছিল তখন দেশের পরিস্থিতি সাময়িক খারাপ থাকলেও ইংল্যান্ড দল কিন্তু খেলতে আসছে। আমরা যারা খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ যারা আছি, তারা সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম যে ইংল্যান্ড আসবে। সেভাবেই প্রস্তুত হয়েছি।’
×