ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে পাটের দাম কমায় হতাশ চাষিরা

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২৭ আগস্ট ২০১৬

টাঙ্গাইলে পাটের দাম কমায় হতাশ চাষিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাট-বাজারে জুনের মাঝামাঝি থেকে নতুন পাট উঠতে শুরু করে। তখন পাটের দাম ভালো ছিল। আগস্টের মাঝামাঝিতে হাট-বাজারগুলোতে পাটের সরবরাহ যেমন বেড়ে যায়, তেমনি পাটের দামও কমতে থাকে। এতে শুরুর দিকে পাটের দাম পেলেও চাষিরা এখন আশানুরুপ দাম পাচ্ছেন না। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর টাঙ্গাইলে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৯ হাজার ৭৩৬ হেক্টর। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাটের আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ১৩৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে দেশি ৩ হাজার ৩২৮ হেক্টর, তোষা ১৪ হাজার ৫৪৩, কেনাফ ২ হাজার ১৬০ এবং মেস্তা ১০৫ হেক্টর। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার বেল অর্থাৎ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে এবার পাটের আবাদ বেড়েছে। গত বছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৯ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ করা হয় ১৯ হাজার ৯৭৪ হেক্টরে। গত বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৩ হাজার ২৮২ বেল। শেষ পর্যন্ত উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৪ বেল। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ হাজার ৩৭৮ বেল কম। বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন প্রতি মণ দেশি পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকায়, শুরুর দিকে যার দাম ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি মণ তোষা পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। শুরুর দিকে এই পাটের দাম ছিল ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি মণ কেনাফ পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। অথচ শুরুর দিকে এই পাটের দাম ছিল ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। দেলদুয়ার উপজেলার পাট চাষি আবুল হোসেন বলেন, পাটের দাম কম থাকায় আমরা হতাশ। দিন যতই যাচ্ছে পাটের দাম ততো কমছে। পাটের ন্যায্য দামের ব্যাপারে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল হাশিম বলেন, চলতি মৌসুমে পাটের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে এবার বন্যায় কিছুটা ক্ষতি হলেও আবাদের লক্ষ্যমাত্রা যেমন ছাড়িয়ে গেছে, তেমনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
×