ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালসের শেয়ার দর ও লেনদেন বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৫ জুলাই ২০১৬

ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালসের শেয়ার দর ও লেনদেন বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সদ্য সম্পাদিত চুক্তিকে কেন্দ্র করে মুম্বাইয়ের শেয়ারবাজারে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস (বিএইচইএল) লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ২ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১৪৪ দশমিক ৭৫ রুপীতে কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা হয়। এছাড়া কোম্পানিটির এই দিনে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেনের ৮ গুণ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বাংলাদেশের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৪৯ কোটি ডলার বা ৯ হাজার ৯৭৫ কোটি রুপীর চুক্তি সই করেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান বিএইচইএল। পরিকল্পনা অনুসারে, ২০১৯ সাল নাগাদ প্রকল্পটিতে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু হবে। অর্থসংস্থানে থাকবে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, এতে কোম্পানিটির বিক্রির পাশাপাশি মুনাফাও বাড়বে। চুক্তির খবর প্রকাশ হওয়ার পর দরের পাশাপাশি বিএইচইএলের শেয়ার লেনদেনও বেড়ে যায়। টানা দুই দিন কোম্পানির দর বাড়ল। বৃহস্পতিবারে কোম্পানিটির ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১টি শেয়ার হাতবদল হয়, যা গত তিন মাসের দৈনিক গড়ের প্রায় ৮ গুণ। জানা গেছে, ৩১ মার্চ সমাপ্ত চতুর্থ প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৭৯২ কোটি ৪ লাখ রুপীতে নেমে আসে। এ কারণে সে প্রান্তিকে মুনাফা এক বছর আগের তুলনায় ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩৬০ কোটি রুপীর নিচে নেমে আসে। ২৯ ফেব্রুয়ারি বিএইচইএল শেয়ারের দর ৯০ রুপীর ঘরে নেমে আসে, যা ছিল ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই শেয়ারটির দর ছিল ২৮৯ রুপী, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তিন মাসের ব্যবধানে মুম্বাইয়ের প্রধান সূচক সেনসেক্স বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিপরীতে বিএইচইএলের শেয়ার দর বাড়ে ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এদিকে গেল এক মাসে সূচকটি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়লেও কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২ শতাংশের বেশি বাড়ে। ভারতের প্রকৌশল ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অন্যতম বৃহৎ কোম্পানি বিএইচইএলের ৬৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক ভারত সরকার। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন প্রায় ৪৯০ কোটি রুপী। বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নির্মাণের পাশাপাশি তারা নক্সা প্রণয়ন, নির্মাণ, স্থাপন, পরীক্ষামূলক পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দিয়ে থাকে। বিদ্যুত সঞ্চালন, তেল-গ্যাস-পানি, সমরাস্ত্র, রেলওয়েসহ অন্যান্য ভারি শিল্পেও এ কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে।
×