ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ময়মনসিংহ উপনির্বাচন

অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১২ জুলাই ২০১৬

অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ময়মনসিংহের দুটি আসনের উপনির্বাচনে জঙ্গী হামলার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। ঢাকার গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার পর পরিস্থিতিকে সংবেদনশীল উল্লেখ করে দুটি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। বলেন, এ ধরনের হমলার কোন আশঙ্কা থাকলে নির্বাচন কমিশনকে আগে থেকে জানাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে আগে থেকে কমিশন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়। সোমবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে উপনির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনামূলক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি আরও বলেন, নাশকতার মতো কোন ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নিয়ে নিবৃত্ত করতে হবে, যাতে ঘটনা জটিল আকার ধারণ না করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও আশ্বস্ত করেছে এ বিষয়ে তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। মাঠের খোঁজখবরে আইনমৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১৮ জুলাই সোমবার ময়মনসিংহ-১ ও ৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত রয়েছে। এর আগে মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা হয়েছে। এতে জঙ্গী হামলার মতো ঘটনা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা হয়। এ ধরনের হামলা হলে তা প্রতিরোধে কী ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। পরে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও জঙ্গী হামলার আশঙ্কার বিষয়টি স্পর্শকাতর। বৈঠকে সে বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধমে মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আশ্বস্ত করেছে নির্বাচনে এ ধরনের নাশকতার কোন আশঙ্কা নেই। তারা এ বিষয়ে তৎপর রয়েছে। এর পরও এ ধরনের আশঙ্কা থাকলে কমিশনকে আগেই জানানোর জন্য অনুরোধ করেছি, যাতে আগে থেকেই কমিশন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় সে বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুটি আসনে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হবে। দুই আসনের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে করণীয় বিষয়গুলো বৈঠকে নির্ধারণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহনীর সঙ্গে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এ সময় তিন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, মোঃ শাহনেওয়াজ ও ইসি সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ময়মনসিংহে শূন্য দুটি আসনের উপনির্বাচনের আগে ও পরে মোট চার দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, ভোট উপলক্ষে ১৬ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত রাখার প্রস্তাব রয়েছে ইসির। ইসি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত রাখা হবে। এর বাইরে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১২৩টি টিম, র‌্যাবের ৩১টি ও বিজিবির সাত প্লাটুন সদস্য থাকবে দুই আসনে।
×