ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁদাবাজি ॥ পঞ্চগড়ে পাথর বালি বিক্রি বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৪ জুন ২০১৬

চাঁদাবাজি ॥ পঞ্চগড়ে পাথর বালি বিক্রি বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বকশিশের নামে চাঁদাবাজি এবং লোডিং-আনলোডিংয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে পঞ্চগড়ের পাথর-বালি ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর-বালি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে গত দু’দিন ধরে সহস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। ব্যাহত হচ্ছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ পাথর-বালি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। সদর উপজেলা এবং তেঁতুলিয়ায় বর্তমানে পাথর-বালি বিক্রি বন্ধের কারণে ট্রাক টার্মিনালে আটকে পড়েছে কয়েক শ’ ট্রাক। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লোডিং-আনলোডিং শ্রমিকরা প্রত্যেক গাড়ি থেকে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা বকশিশ নিচ্ছে। জেলা প্রশাসনের লোডিং-আনলোডিং সিএফটি প্রতি ফি ১.৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তারা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ২ থেকে ৩ টাকা আদায় করছে। তাই পাথর-বালি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেলা পাথর-বালি ব্যবসায়ী যৌথ ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন ২০০৮ সালে প্রত্যেক সিএফটি পাথর-বালি লোডিং এবং আনলোডিং বাবদ ১.৩০ টাকা, ২০১১ সালে ১.৬০ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে ১.৯০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্তকে না মেনে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ২ থেকে ৩ টাকা আদায় করছে। সর্বশেষ গত ২০ জুন জেলার মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীরা যৌথ মিটিং করে লোডিং-আনলোডিং ফি ২.২০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু শ্রমিকরা দাবি তুলেছেন ৩ টাকার। এছাড়াও লোডিং-আনলোডিং ফি বাদেও প্রত্যেক গাড়ি থেকে বকশিশের নামে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা শ্রমিকরা নিচ্ছেন মর্মে অভিযোগে জানা গেছে। ফলে গত ২১ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর-বালি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন পাথর-বালি ব্যবসায়ীরা। এদিকে লোডিং-আনলোডিং শ্রমিকরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বর্তমান সময়ে সবকিছু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি। তাই আমরা লোড-আনলোড বাবদ সিএফটি প্রতি ৩ টাকা দাবি করেছি। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে লোডিং-আনলোডিং ফি বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও কেউ কথা শুনছে না। জোরজবরদস্তি করেও তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয় না। ট্রাকচালকরা ইচ্ছে করে শ্রমিকদের বকশিশ দেন। এটাতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কোন কারণ আমরা দেখছি না। শ্রমিকদের অভিযোগ, শ্রমিকদের ঈদের আগে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের নামে জিম্মি করে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ ম-ল জানান, ‘শ্রমিকরা এসেছিল। ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে এখনও আমাকে কিছু জানাননি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
×