ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফারুকের পদত্যাগ, প্রধান নির্বাচক নান্নু

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৩ জুন ২০১৬

ফারুকের পদত্যাগ, প্রধান নির্বাচক নান্নু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক পদে ওলট-পালট হয়ে গেল। ফারুক আহমেদ ছিলেন প্রধান নির্বাচক। তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ প্রধান পদটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এরপরই মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে দিয়ে দিয়েছে। এখন থেকে প্রধান নির্বাচক নান্নুই। এ পদটি পেয়ে খুশি হয়েছেন নান্নু। বলেছেন, ‘খুব ভাল লাগছে। কারণ, পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি, আমি আর হাবিবুল বাসার সুমন। বিসিবি আমাদের এ দায়িত্ব দেয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা যে প্রসেসে কাজ করছিলাম সেভাবেই কাজ করে যাব। ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও উপরের দিকে তুলে নিতে চেষ্টা করব।’ ফারুক আহমেদ পদত্যাগের অন্যতম কারণ হলো এখন স্বাধীনতা থাকছে না। প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহেকে নির্বাচকদের ওপর খবরদারি করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যে ক্ষমতা পাচ্ছেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। আবার আরেকটি প্যানেলও থাকছে। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও নির্বাচক প্রক্রিয়ার অংশ হবেন। এতসব দিক বিবেচনা করে ফারুক মনে করেছেন, তার কাজ করার স্বাধীনতা থাকছে না। তাই পদত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে পারবেন? নান্নুকে প্রশ্ন করতেই বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আগে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছিলাম সে প্রসেসেই করে যাব।’ আগে আপনাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে, এটা আপনাদের জন্য ...। এমনটি প্রশ্ন ছোড়ার সম্ভাবনা দেখতেই নান্নু জানান, ‘পরিবর্তন তেমন না। একটা দল হওয়ার পর কোচের চাওয়া থাকে অধিনায়কের চাওয়া থাকে। ওই হিসেবে আমরা বেস্ট পসিবল দল দাঁড় করানোর চেষ্টা করি।’ এতে কি আপনাদের হেও করা হচ্ছে কিনা? নান্নু ‘না’ জবাবই দিতে চাইলেন, ‘এত যদি হস্তক্ষেপ হতো তাহলে কি পাঁচ বছর আমরা কাজ করতে পারতাম। আমার মনে হয় এসব চিন্তা না করে আগামীতে বাংলাদেশ দলকে আরও কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সেটাতে ফোকাস দেয়া উচিত।’ দ্বিস্তর নির্বাচক কমিটি করা হয়েছে। এক কমিটিতে নির্বাচকরা, আরেক কমিটিতে কোচ, ম্যানেজাররা। এজন্যই ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করেছেন। অথচ নান্নু বলছেন, সব আগের মতোই আছেন! বলেছেন, ‘নিয়মটাতো অনেকটা আগের মতোই। আগেও আমরা দল তৈরি করে চেয়ারম্যানের কাছে স্বাক্ষর করাতাম। তারপর প্রেসিডেন্ট। এখন কাজ যেহেতু শুরু করছি, দেখি কতদূর যায়।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান কিন্তু সবসময়ই উপরে। আমরা যেহেতু তাদের আন্ডারেই আমরা টিম যখন রেডি করে দেই তখন তাদের স্বাক্ষর নেই। চেয়ারম্যান ক্রিকেট অপারেশন্সের স্বাক্ষর নেই। সুতরাং ওই জায়গায় আমাদের আলোচনা হয়ই। আমার মনে হয় এতে কোন ভুল বুঝাবুঝির কোন কারণ নেই।’ ফারুক যেখানে সমস্যা দেখছেন, সেখানেই সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছেন নান্নু। তিনি যে এখন প্রধান নির্বাচক! গত রোববার দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি অনুমোদন দেয় বিসিবি। বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। মূলত দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি গঠন করার প্রতিবাদেই ফারুক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি ঘোষণার দিন নির্বাচক প্যানেল থেকে হাবিবুল বাশারকে সরিয়ে দেয়া হয় জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে। দুই দিনের মাথায় আবার সিদ্ধান্ত বদল করল বিসিবি। বাশারকে আবার পুরুষ জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিতে জায়গা করে দেয়া হলো।
×