ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১২ প্রকল্পে অনুদান দিচ্ছে ডেনমার্ক

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১০ জুন ২০১৬

১২ প্রকল্পে অনুদান দিচ্ছে ডেনমার্ক

অর্থনৈতিক রিপার্টার ॥ বাংলাদেশের ১২ প্রকল্পে ৩৯৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে ডেনমার্ক। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সহায়তার অর্থছাড় করবে দেশটি। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার একটি বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রোগ্রাম ফ্রেমওয়ার্ক নামে একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং ডেনমার্কেও রাষ্ট্রদূত হানিফুগাল স্কেজার। মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন, কৃষি খাতে, খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়বে। কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই জ্বালানি এবং সুশাসন বিষয়ক ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে ডেনমার্কের অনুদানের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে কান্ট্রি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে যেতে চাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে ॥ শিল্পমন্ত্রী অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ্যাক্রোডিটেশন বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষাকৃত নতুন ধারণা। এ্যাক্রোডেটিশন হচ্ছে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গুণগত মানসনদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার একটা বিশ্ব স্বীকৃত পন্থা। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতের বিকল্প নেই। এ কারণে এ্যাক্রিডেটশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশী পণ্যের প্রসার ঘটাতে শুধু এ্যাক্রোডিটেশন সনদ প্রদানের যোগ্যতা অর্জন যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে আস্থা ধরে রাখা প্রয়োজন।
×