কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঈদ-উল- ফিতরের ছুটি উপলক্ষে ভারতে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ‘ঈদ ভিসা ক্যাম্পে’র উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার ভারতীয় হাইকমিশনের বারিধারায় নতুন চ্যান্সারি ভবনে এই ভিসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। এখানে ই-টোকেন ছাড়াই ভিসা আবেদন গ্রহণ চলছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের ঈদ ভিসা ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
ভিসা ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ঈদের ছুটিতে ভারতে যাবার ব্যবস্থা সহজ করার জন্য এই প্রথম ঈদ ভিসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনের জন্য কনস্যুলার ও ভিসা সেবা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ঈদ ভিসা ক্যাম্প বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্য এক পদক্ষেপ।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশী নাগরিকরা ঈদের সময় ভারতে ঘুরতে যেতে ভালবাসেন। ২০১৫ সালে ভারতে ঘুরতে যাওয়া ভ্রমণকারীদের সূচকে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এখন থেকে ভিসা সহজ করতে তাদের আরও অনেক উদ্যোগ দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণকারীদের সুবিধা দিতে তাঁরা নানা উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনের বারিধারায় নতুন চ্যান্সারি পরিসরে ঈদ ভিসা ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় একটি লাকি ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে তিন ভাগ্যবান বিজেতা জেট এয়ারওয়েজের সৌজন্যে ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা, ঢাকা- মুম্বাই-ঢাকা ও ঢাকা-দিল্লী-ঢাকার দুটি করে এয়ার টিকিট জিতেছেন। এছাড়া ভিসা ক্যাম্প থেকে যে সকল যাত্রী টিকিট কিনবেন, জেট এয়ারওয়েজ তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় দিচ্ছে।
ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, ঈদ ভিসা ক্যাম্প চলাকালে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনকারীরা বিনা এ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে সরাসরি তাঁদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পরিচালিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র আবেদনপত্র জমা নেয়ার জন্য বিশেষ কাউন্টারের ব্যবস্থা করেছে। ঈদ ভিসা ক্যাম্পের প্রথম দিনে অভূতপূর্ব উৎসাহ দেখা গেছে।
যেসব বাংলাদেশী নাগরিকের সাক্ষাতের তারিখ বা ই-টোকেন নেই শুধু তাদের ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য এই ঈদ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। ঈদ ভিসা ক্যাম্প ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স ১-৩ জাতিসংঘ সড়ক, বারিধারায় ৪-১৬ জুন (শুক্রবার ১০ জুন ছাড়া) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চালু থাকবে। পার্ক রোডের চ্যান্সেরি গেট দিয়ে ক্যাম্পে ঢুকতে হবে। ক্যাম্পের ভেতর কোন ব্যাগ ও মোবাইল আনা যাবে না। বর্তমানে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য শুধু এ ক্যাম্প খোলা থাকবে। আবেদনকারীদের স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। তবে একসঙ্গে ভ্রমণেচ্ছু পরিবারের সদস্যদের (পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী) পক্ষে একজন আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। আবেদনকারীদের নিশ্চিত থাকতে হবে যে, তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ আবেদন করার তারিখে কমপক্ষে ৬ মাস আছে। এছাড়া পাসপোর্টে কমপক্ষে দুইটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।