অভিবাসী স্রোত রোধের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে নিজের দায়দায়িত্ব তুরস্ককে অবশ্যই পালন করতে হবে। ব্লকের বিরুদ্ধে তুরস্কের হুমকি কোন কাজে আসবে না বলে সংস্থার এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। খবর এএফপির।
ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদ হাঙ্কার বলেন, তুরস্ক এর নাগরিকদের জন্য এ মহাদেশে ভিসামুক্ত পর্যটন সুবিধা চাইলে আঙ্কারাকে অবশ্যই কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন শিথিল করতে হবে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান মঙ্গলবার ইইউয়ের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, তুরস্ক বিনা ভিসায় ইউরোপ ভ্রমণের সুবিধা না পেলে দেশটির পার্লামেন্টে এ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পর্কিত আইন পাস করা হবে না। তার এ বক্তব্যের পর জাঙ্কার তার ওই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
জাপানের ইসে-শিমাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা অবশ্য প্রত্যাশা করি যে, তুরস্ক এর প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকবে। তিনি এরদোগানের উদ্দেশে বলেন, আপনি যে ধরনের হুমকি দিচ্ছেন তা মোটেই সর্বোৎকৃষ্ট কূটনৈতিক হাতিয়ার নয়। তিনি বলেন, এসব হাতিয়ারের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কারণ, এগুলোতে কোন কাজই হবে না। জাঙ্কার সেখানে গ্রুপ-৭ শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিচ্ছিলেন। তুরস্কের নাগরিকদের বিনা ভিসায় ইউরোপ ভ্রমণের সুবিধা প্রদান চুক্তি ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে আভাস পাওয়া গেলে এরদোগান ইইউয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুমোদনে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন এবং পরপর জাঙ্কার এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল সোমবার এরদোগানের সঙ্গে কথা বলার পর বলেন যে, জুনের শেষ নাগাদ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্য অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। চুক্তির শর্তানুযায়ী তুরস্ক অভিবাসীদের ইজিয়ান সাগর অতিক্রমে বাধা দেবে এবং যারা অবৈধভাবে সাগর অতিক্রম করে ইউরোপ পৌঁছেছে, তাদের ফেরত নেবে। ইইউ কর্মকর্তারা চুক্তির সফলতায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইস্তাম্বুলে এ সপ্তাহে ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটারিয়ান সামিটের শেষ পর্যায়ে এরদোগানকে প্রশ্ন করা হবে, বিনা ভিসায় এ পর্যটনের সুবিধা দেয়া না হলে কী হতে পারে? উত্তরে তিনি বলেন, তা হলে তুর্কি পার্লামেন্টে ইইউয়ের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত ও কোন আইন পাস হবে না।