ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নুরুন্নাহার শিরীন

জ্যোৎস্না রাতে খুকুর সাথে

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

জ্যোৎস্না রাতে খুকুর সাথে

॥ এক ॥ খুকুরে, কোথায় তোর বাড়ি? ঠিকানা দিলে দিতেই পারি লাল মিষ্টির হাঁড়ি। খুকুরে, তোর কি ঠিকানা চাঁদের দেশ? তাই কি কেবল স্বপ্নে আসিস, হাসিস মিষ্টি বেশ। খুকুরে, বলছি তোর কানে-কানে অন্য কাউকে বলিসনে। আমার সকল স্বপ্ন শুধু তোর জন্য। লাল-সবুজের ঘরকন্না তোর জন্য। খুকুরে, যদি না দিস সাড়া- দেখিস গাল ফুলিয়ে কাঁপিয়ে পাড়া- খুঁজে আনবো টগবগানো ঘোড়ার গাড়ি। তখন জানিস তোর সঙ্গে আমার আড়ি। ॥ দুই ॥ আড়ি দিলেই খুকুরে তোর আসবে দেখিস লালমুখো বর। বরের বাড়ির লাড্ডু খেতে পিঁপড়েমুখী পরীরা নাচে পাত্র পেতে। পাত্রে আবার বিশাল ফুটো ফুটোর ভিতর বিশাগড়ের হনু দুটো। হনুর নাচন কে দেখে রে? চারশো ডাকাত হেঁকে ওঠে হারেরেরে। অমনি বাতাস শোঁ শোঁ শাঁ শাঁ- সিংহরাজের আটশো বাতাসা খেয়ে শিয়াল-কুকুর ঘুমে অচেতন- খুকুর কেবল মন উচাটন। ॥ তিন ॥ খুকু, আলমারিতে আজও তোলা তোর খেলনাপাতি লাল শাড়িটা- টিনের বাকসো নকশাকাটা মেটে হাঁড়িটা। এবং রুমালভর্তি নীল-হলুদ ফুল তোলা। খুকু, তুই কি নিঝুম রাতে চাঁদের বুড়ি হাঁটতে আসিস একলা ছাতে? দূরের বাড়ির আশপাশে ভরা হাটে ছায়ার মতোন জড়িয়ে থাকিস মস্ত মাঠে? খুক, তোকে খুঁজতে বৃষ্টি আসে- ঝমঝমিয়ে রূপালি রাতে- তখন আমার আনন্দধুম বুড়ি ছাদে- লিখতে বসি খুকুর ছড়া হিম বাতাসে। ॥ চার ॥ খুকু, শোন বলি শোন- ঝড়ের বুড়ির শনশনাশন। এই বুঝি কার সাধের ঘরটা নেবে- ঘরের ভিতর বিছানাবালিশ ভিজিয়ে দেবে। ঝাড়তে কাদা আসবে বনের বানর-টিয়ে লেজ উঁচিয়ে ঢের- ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে সব কাদাধুলো- উঠোনতলে রইবে পড়ে মেঘলামতি তুলো। খুকু, হয়তো দেখিস তুলোর পুতুল বানিয়ে বলবে টিয়ে ইশ! ফাজিল বানর করছেটা কি হায়! আমার লেজে এ্যাত্তো কালো লাগিয়ে দিলি হায়! অলঙ্করণ : আইয়ুব আল আমিন
×