ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১২৫ উপজেলায় ইউআইটিআরসিই উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশ কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৩ মার্চ ২০১৬

প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশ কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়ে তুলতে দেশের সকল উপজেলায় আইসিটি রিসোর্ট সেন্টার গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনভাবেই পিছিয়ে থাকতে পারে না। প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। কারণ সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন ও আরও ব্যাপকভাবে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানো এবং উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করাÑ এই কাজগুলো খুব সহজ হয় শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ১২৫টি উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (ইউআইটিআরসিই)-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা কেবল শহর কেন্দ্রিক নয়, তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন করে যাচ্ছি। আমরা পুরো বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে চাই। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। তথ্য প্রযুক্তি সেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারলে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর হবে। একই সঙ্গে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করাও সহজ হবে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে ৫ হাজার ২৬৫ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, ডিজিটাল কেন্দ্র করে দেয়া হয়েছে ৮ হাজার পোস্ট অফিসকে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে, দেশের উন্নয়ন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে। আমাদের আর কারও কাছে হাত পেতে চলতে হবে না। আমরা বীরের জাতি, আমরা বিজয়ী হব। আর এভাবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি শুধু দৈনন্দিন কাজেই প্রয়োজনীয় নয়, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে ও দুর্নীতিমুক্ত করতেও একে ডিজিটালাইজড করা দরকার। তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয় বলেই শিক্ষাকে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে শহর-গ্রামের উন্নয়ন বৈষম্য এবং ধনী-দরিদ্রের আয় বৈষম্য কমানো। এদিকে লক্ষ্য রেখেই গ্রামের উন্নয়নের প্রতি নজর দিয়েছে সরকার। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করা, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা, নীরিক্ষা কার্যক্রম আরও ব্যপকভাবে করা এবং উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করা- এই কাজগুলো খুব সহজ হয় শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর হবে। প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ব্যুরো ও পরিসংখ্যানের (বেনবেইস) উদ্যোগে এবং দক্ষিণ কোারিয়ার সহযোগিতায় উল্লিখিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সারাদেশের সকল উপজেলায় আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার ফর এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ১ম পর্যায়ে এদিন সারাদেশে ১২৫টি ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন করা হল। এর মাধ্যমে ২০১৭ সালের মধ্যে সারাদেশের ১ লাখ শিক্ষককে আইসিটিতে মাস্টার ট্রেনিং প্রদান করা সম্ভব হবে। ট্রেনিং এ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার স্থাপন দেশের জন্য মাইলফলক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হবে। এজন্য ১২৫টি ইউআইটিআরসিই’র আজ উদ্বোধন হলো, দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১৬০টি সেন্টার নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশের ৪৮৯টি উপজেলাতেই এই কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। উন্নয়নকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কেবল শহর বা রাজধানী কেন্দ্রিক উন্নয়ন করতে চাই না। উন্নয়নকে গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে গেছি, সকলের সমান উন্নয়ন করতে চাই। শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। সমগ্র দেশে ৫ হাজার ২৭৫ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ২শ’ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দেশের ৮ হাজার পোস্ট অফিসকেও ডিজিটাল করার উদ্যোগ গ্রহণে মানুষের নানা সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল ক্লাস রুম করে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে ২৬ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের অন্তত একটি করে হলেও আমরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাম রুম করে দেব। প্রধানমন্ত্রী মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম স্থাপনে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যে যেই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন, সে স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনে একটি করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টর দিয়ে হলেও সহযোগিতা করুন। আপনার স্কুলকে আপনিই দিন। যে স্কুলে লেখাপড়া করেছেন সেই স্কুলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে হলেও আপনাদের এগিয়ে আসা দরকার। তিনি বলেন, মনে আছে আগে কম্পিউটার কিনতে অনেক টাকা লাগত। পার্টির জন্য একটা কম্পিউটার কিনেছিলাম, অ্যাপল কম্পিউটার, ডিজিটাল প্রিন্টার প্রায় ৩ লাখ টাকায়। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগই প্রথম তথ্য প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটায় বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ১৬ কোটি মানুষ ১৩ কোটি মোবাইল সীম ব্যবহার করে। অনেকে দুই-তিনটাও ব্যবহার করে। বাংলাদেশের মানুষ একটু আলাপ প্রবণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কল সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ ২ শতাধিক সেবা ঘরে বসেই পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবাও মোবাইলের মাধ্যমে হচ্ছে। মোবাইলে এসএমএস আদান-প্রদান ও অপারেটিং দক্ষতাও দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত দেশে কোন বৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা ছিল না। আমরা ডিগ্রী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শেই প্রযুক্তির উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিই, তখন অনেকে ‘ঠাট্টা-তামাশা’ করেছিল। কিন্তু এখন আর কেউ ঠাট্টা করতে পারে না। কিন্তু আজকে প্রমাণ হয়েছে; বাংলাদেশ সত্যিই ডিজিটাল। তিনি বলেন, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সেই কিন্তু সব সময় পরামর্শ দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁর কাছ থেকেই আমরা পরামর্শ নেই। হাভার্ডে মাস্টার্স করা জয় সম্পর্কে তাঁর মা আরও বলেন, মা হয়েও আমি বলব, আমার কম্পিউটার শিক্ষা; আমি আমার ছেলের কাছ থেকে শিখেছি, এখনও শিখছি। এটাও ঠিক, শেখার কোন শেষ নেই, সীমা নেই। এটা হলো বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা অনেক বেশি মেধাবী। তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে প্রযুক্তির ব্যবহারকে সহজলভ্য করার উদোগ নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞান বিষয় পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের অনীহা ছিল। আমরা সরকারে আসার পর পরিকল্পনা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামই করব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ১২৫টি উপজেলায় ট্রেনিং এ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার স্থাপনে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেনবেইসে ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এখন বিষয় ভিত্তিক মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট নির্মাণের কাজ চলছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্ভার রুম স্থাপন সহ উপজেলা থেকে নির্বাচিত শিক্ষকদের মাসব্যাপী তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও আউট সোর্সিয়ের মাধ্যম নিজেদের ভাগোন্নয়ন করতে পারবেন। একই সঙ্গে স্থানীয় নাগরিকদের একসেস টু ইনফরমেশন নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব কেন্দ্র থেকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। ভবিষ্যতে উপগ্রহ স্থাপন করা হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্গম এলাকা যেখানে কেউ চিন্তা করতে পারেনি ইন্টারনেট সার্ভিস থাকতে পারে, সেখানেও ইন্টারনেট সেবাকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশের প্রায় সোয়া পাঁচ হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৫ হাজার ওয়েব পোর্টাল নিয়ে তৈরি দেশের ‘তথ্য বাতায়ন’ এক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী ইউআইটিআরসিই’র উদ্বোধন শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, রাজশাহীর পবায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অং সিউয়েন ডো, ইউআইটিআরসিই’র প্রকল্প পরিচালক এবং ব্যানবেইস’র পরিচালক ফসীউল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, আন্তর্জাতিক সহযোগী সংগঠনের কর্মকতৃাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবার বাকেরগঞ্জ, মুলাদী, চরফ্যাশন, নলছিটি, বাউফল, আমতলী, গলাচিপা, মোরেলগঞ্জ, রায়পুরা, মনোহরদী, মোকসেদপুর, নড়িয়া হালুয়াঘাট, ইসলামপুর, নালিতাবাড়ি, কালীহাতি, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, রামু, ছাগলনাইয়া, কোম্পানীগঞ্জ, রাঙ্গামাটি সদর, ফরিদগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, বানিয়াচং, জামালগঞ্জ, দাউদকান্দি, বাজিতপুর, কালীগঞ্জ, মহেশপুর, শৈলকুপা, লোহাগড়া, গাংনী, কুমারখালী, তানোর, পুঠিয়া, গুরুদাসপুর, বাগাতিপাড়া, সুজানগর, ক্ষেতলাল, গাবতলী, শিবগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পীরগঞ্জ, পার্বতীপুর, দেবীগঞ্জ, রাণীশংকৈল, পতœতলা, কিশোরীগঞ্জ, গফরগাঁওসহ দেশের ১২৫টি উপজেলায় ট্রেনিং এ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১৬০টিতে কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব উপজেলায় করা হবে।
×