ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত দেশের মাটিতে সব সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে - ক্লার্ক

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

ভারত দেশের মাটিতে সব সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে - ক্লার্ক

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপ জিতে অবসর নিয়েছিলেন। চলে এল আর এক বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সম্ভাবনা কতটা। অস্ট্রেলিয়াই বা কতটা তৈরি। সব নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন মাইকেল ক্লার্ক। প্রশ্ন: ভারতের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ কী ভাবে দেখছেন? প্রথমে ওয়ান ডে সিরিজে ১-৪ চূর্ণ হওয়া। তার পর চেনা ছন্দে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতে শুরু করা। ক্লার্ক: ভারত এই সফরে বেশ ভাল ব্যাট করল। দুর্ভাগ্য, মহম্মদ শামি সিরিজের আগে চোট পেয়ে গেল। যার জন্য ওদের ভুগতে হয়েছে। তবে কৃতিত্ব দিতে হবে টিম অস্ট্রেলিয়াকে। ওরা অবিশ্বাস্য রকমের পারফর্ম করল ওয়ান ডে সিরিজে। তার মানে এই নয় যে, ভারত খারাপ খেলেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ভারতের চেয়ে এগিয়ে থেকেছে ওয়ান ডে সিরিজে। ইদানীং একটা ব্যাপার দেখি যে ঘরের মাঠে সব দলই এগিয়ে থাকে। যেমন ভারত দেশের মাটিতে সব সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এখানেও ঠিক তাই হয়েছে। হাই স্কোরিং সিরিজ বেশ উপভোগ করছি। প্র: ভারতীয় বোলিং নিয়ে কী বলবেন? ক্লার্ক: ইশান্ত আর উমেশের অস্ট্রেলিয়ার পিচ সম্পর্কে ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। রবীন্দ্র জাডেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনও বেশ ভাল স্পিনার। আর এ বারের সিরিজে খেলা হচ্ছে একদম ফ্ল্যাট উইকেটে। ফলে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দু’টো টিমের বোলারদের কাছেই এই পিচে বল করা বেশ কঠিন। একটা কথা বলব, ওয়ান ডে ক্রিকেটে এমএস ধোনির ভারত কিন্তু মোটেও হেলাফেলার টিম নয়। ওদের হারানো বেশ কঠিন। এ নিয়ে কোনও সন্দেহই তাকতে পারে না। প্র: ভারতের ব্যাটিংয়ে বেশ কয়েক জন নবীন প্রতিভার আমদানি হয়েছে। ধোনির টিমের মিডল অর্ডার কি আগের মতোই শক্তিশালী বলে আপনার মনে হয়? ক্লার্ক: ভারতের এই দলটা তারুণ্য ও অভিজ্ঞদের মিশেলে তৈরি। যেখানে ধোনি, রোহিত, বিরাট কোহলি, ধবনদের টপ অর্ডারে খেলতে দেখে তরুণ ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপটা কী ভাবে সামলাতে হয় তা ভাল ভাবে শিখতে পারবে। প্র: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে? অজিদের বোলিংটা কিন্তু দুর্বল লাগছে। ক্লার্ক: অজিদের এই সামারটা কিন্তু ভালই যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভালই পারফর্ম করেছে আমাদের ছেলেরা। ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজেও তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। তবে বিশ্বকাপের সময় বোলারদের চোট-আঘাত মুক্ত থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়ান বোলিং এই মুহূর্তে বেশ শক্তিশালী। নাথন লায়ন ক্রমশ উন্নতি করছে। আমি মনে করি, ওকে তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেই খেলানো উচিত। প্র: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা আজ পর্যন্ত জেতেনি অস্ট্রেলিয়া। এ বার কি টুর্নামেন্টটা জেতা সম্ভব? জিততে গেলে অস্ট্রেলিয়াকে কী করতে হবে? ক্লার্ক: প্রথমেই একটা কথা বলি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনারদের ভাল পারফর্ম করলেই হবে না। ব্যাটসম্যানদের ভাল করে স্পিনটাও খেলতে হবে। তবে আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতই ফেভারিট। কারণ ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশে খেলবে ওরা। ওদের হারানো খুবই শক্ত। তবে এক জন অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে আশা করতেই পারি টুর্নামেন্টটা জিতবে অস্ট্রেলিয়া। তবে আবার বলছি, ভারতকে হারানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×