ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নম্বরবিহীন মোটর সাইকেলে সয়লাব বরিশাল

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

নম্বরবিহীন মোটর সাইকেলে সয়লাব বরিশাল

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ জেলা শহরসহ ১০ উপজেলার গ্রামীণ সড়কে রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভাড়ায় চালিত প্রায় তিন হাজার মোটরসাইকেল চলাচল করছে। অভিযোগ রয়েছে, স্ব-স্ব থানা ও হাইওয়ে থানা কিংবা ফাঁড়ির পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে নম্বরবিহীন এসব মোটরসাইকেল চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই মাদক পাচার, ছিনতাই ও চুরির কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকরা বেপরোয়া গতিতে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে। অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক সমিতিকে সহযোগিতা করছেন কতিপয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধিরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীসহ জেলার দশটি উপজেলার যুবকরা যাত্রী পরিবহনের কাজে তিন হাজারেরও অধিক মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব মোটরসাইকেলের ৮০ ভাগই রেজিস্ট্রেশনবিহীন। বিভিন্ন উপজেলার মোটরসাইকেল চালক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, দিন দিন মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, যারা মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালায় তারা ঋণ করে মোটরসাইকেল ক্রয় করলেও অনেক সময় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে পরবর্তীতে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এভাবেই একটি মোটরসাইকেল একাধিকবার হাত বদল হচ্ছে। এসব হাত বদলকৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য স্ব-স্ব এলাকার পুলিশ সদস্যদের তেমন কোন উদ্যোগ না থাকলেও প্রতিটি উপজেলার মোটরসাইকেল চালক সমিতি থেকে থানা, হাইওয়ে থানা কিংবা ফাঁড়ির পুলিশদের মাসোয়ারা গ্রহণের অভিযোগ করেছেন একাধিক মোটরসাইকেল চালকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আরও জানান, প্রতিটি সমিতি শক্তিশালী থাকলে এবং মাসোয়ারা না নিয়ে প্রশাসন সার্বিক সহায়তা করলে অল্পদিনেই সমিতির মাধ্যমে নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ কিংবা রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার এসএম আকতারুজ্জামান বলেন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন বা নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলগুলোর বিষয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে জরুরীভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন করানোসহ এর সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের মাসোয়ারা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কিংবা মাসোয়ারা গ্রহণের প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×