স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেবার ব্রত নিয়ে বিশ্ব শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। মৌলবাদী জঙ্গী তৎপরতা, খ্রীস্টান যাজকদের ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে উৎকণ্ঠা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানে স্বস্তিও প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশের প্রতিটি গির্জা খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রার্থনায় মিলিত হতে সকাল থেকে তারা ভিড় করেন গির্জায়। গির্জায় গির্জায় ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বিভিন্ন এলাকায় চলে একত্রিত হয়ে একবেলা খাবার গ্রহণ, যা মিলনভোজ হিসেবে পরিচিত। ছিল প্রার্থনানুষ্ঠান, খেলাধুলা, কীর্তনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শুধু গির্জায়ই নয়, রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলগুলোতেও ছিল খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মিলনমেলা। এ উপলক্ষে পাঁচতারকা হোটেলগুলোও বিশেষভাবে সাজানো হয়। সোনারগাঁও, ঢাকা রিজেন্সি এবং ওয়েস্টিন হোটেল সাজানো হয় রঙ্গিন বাতি, বেলুন ক্রিসমাস ট্রি আর ফুল দিয়ে। সঙ্গীতের সুরে তেজগাঁওয়ের জপমালা গির্জায় সকাল সাড়ে ৭টায় প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হয় শুভ বড়দিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে হাজার হাজার পুণ্যার্থী ভিড় করেন গির্জায়। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এই জপমালা গির্জাটি পরিপূর্ণ হয় ওঠে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলায়। গির্জার প্রধান ধর্মযাজকের সঙ্গে দিনের শেষ প্রার্থনায় হাজার হাজার পুণ্যার্থী অংশ নেন। এ সময় জপমালা গির্জার ভেতরে ও বাইরে ছিল খিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উপচেপড়া ভিড়।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান মিলনমেলায় রূপ নেয়। বড়দিনের সঙ্গীতে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গভবন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: