ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সামান্য বৃষ্টিতেই বাসের মধ্যে পানি ॥ ছাতা মাথায় যাত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সামান্য বৃষ্টিতেই বাসের মধ্যে পানি ॥ ছাতা মাথায় যাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৩ সেপ্টেম্বর ॥ ঠাকুরগাঁও রুটে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসগুলোর বেহাল দশা চলছে। বাসগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই বাসের ভেতরে পানি পড়ে। বসে বা দাঁড়িয়ে কোন অবস্থাতেই বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় নেই। ফলে যাত্রীদের গাড়ির ভেতরে ভেজা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। ফলে বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে অনেক যাত্রীকেই দেখা যায় বাসের ভেতরে ছাতা মাথায় চলাচল করছে। রংপুর-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় রুটে পৌনে দুই শ’ কিলোমিটার দূরত্বে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি বিআরটিসি বাস যাতায়াত করে। লক্কড়-ঝক্কড় এ বাসগুলোর যেন সমস্যার অন্ত নেই। বাসের ছাদ, জানালার কাঁচ, সিট সবকিছুই ভাঙ্গা, সামান্য ঝাঁকুনিতে বিকট শব্দ হয়, যেন ভ্রাম্যমাণ কারখানা চলছে। দু’একটি ছাড়া প্রতিটি বাসের অবস্থা একই রকম। সঠিকভাবে করা হয় না মেরামত। আবার মেরামতের নামে চলে দুর্নীতি আর অনিয়ম। সরকারী এ প্রতিষ্ঠানটির সেবা যেখানে সবার চেয়ে ভাল ও আরামদায়ক হওয়ার কথা, সেখানে সেবার নামে বস্তুটি যেন এ যাত্রীদের কাছে অপরিচিত। যথাযথ কর্তৃপক্ষ থাকলেও নেই সুষ্ঠু কোন নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা। বাসগুলোর চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের নিকট চুক্তিতে দেয়া হয়। স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা নিয়ে রংপুর থেকে পঞ্চগড় যাচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গন্তব্যে যাওয়ার সিট পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই সিটে বসেই পরিবার নিয়ে ভিজতে হচ্ছে। গাড়িতে উঠেও যদি ভিজতে হয় তাহলে আর কী বলার থাকে? এ ব্যাপারে বিআরটিসির ঠাকুরগাঁও বাস কাউন্টার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাড়ির এমন সমস্যার কারণে যাত্রীরা সব সময় অভিযোগ করেন। আমরা অনেকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এসব সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তবে সাধারণ যাত্রীদের প্রত্যাশা অচিরেই কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বাসগুলো মেরামত করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভেজালমুক্ত খাদ্যের দেশ, হবেই মোদের বাংলাদেশ ‘ভেজাল মুক্ত খাদ্যের দেশ, হবেই মোদের বাংলাদেশ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ২২ আগস্ট মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেন আমিন খান। চুয়াডাঙ্গার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ভেজাল খাদ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন তিনি। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শিশুদের সঙ্গে ভেজাল খাদ্য নিয়ে আলাপ করেন। এর পরে চুয়াডাঙ্গায় বিশ-পঁচিশ হাজারেরও অধিক জনগণের উপস্থিতে পথসভাও করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ আগস্ট নিজ জেলা শহর খুলনার একটি বিদ্যালয়ের শিশুদেও ভেজাল খাদ্যকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান এ অভিনেতা। শিশুরা তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে স্লোগান দেয় ‘ভেজাল মুক্ত খাদ্যেও দেশ, হবেই মোদের বাংলাদেশ’ এবং শিশুরা নিজ থেকে বলতে শুরু করেছেন ভেজাল মুক্ত খাদ্যের কথা। এতে চিত্রনায়ক আমিন খান অবাক হয়েছেন।- বিজ্ঞপ্তি।
×