ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধীর নামে বই ছাপানোর দায়ে জামালপুরে গ্রেফতার ৮

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৮ আগস্ট ২০১৫

যুদ্ধাপরাধীর নামে বই ছাপানোর দায়ে জামালপুরে গ্রেফতার ৮

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২৭ আগস্ট ॥ যুদ্ধাপরাধীর দায়ে মৃত্যুদণ্ড সাজা ভোগকারী আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে শহীদ উল্লেখ করে তাদের নামে উৎসর্গ করা কবিতার বই ছাপানোর অভিযোগে প্রেসের ম্যানেজারসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় প্রেসটি তালাবন্ধ করে দেয়া হয়। জানা যায়, শহরের মনোয়ার সিনেমা হল সংলগ্ন কাশফুল অফসেট প্রিন্টিং প্রেসে জিহাদী কবিতার বই ছাপা হচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুরে ডিবি পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই প্রেসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জিহাদী কবিতার বই ও বইয়ের মোড়ক উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ প্রেসের ম্যানেজার মোঃ উবায়দুল্লা এবং প্রেসের কর্মচারী সিফাত, জিয়াউল, আব্দুস সালাম, আল-মামুন, জহুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও মোঃ কাজলকে গ্রেফতার করে। আন্তঃক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সংসদীয় বিতর্ক আন্তঃক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৫ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরিয়া কমান্ডার, সদর দফতর লজিস্টিকস এরিয়া ও ঢাকা এরিয়ার সকল স্কুল ও কলেজের চীফ পেট্রন মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রতিযোগিতায় স্কুলপর্যায়ে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল দল চ্যাম্পিয়ন এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ দল রানার্সআপ হয়। কলেজপর্যায়ে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ দল চ্যাম্পিয়ন এবং যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ দল রানার্সআপ হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ২৯টি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। -বিজ্ঞপ্তি। নওগাঁর পাকুড়িয়া গণহত্যা দিবস আজ নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৭ আগস্ট ॥ মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সেই ভয়াল দিন শুক্রবার। একাত্তরের ২৮ আগস্ট। দিনটি ছিল শনিবার। কাকডাকা ভোর। এদিন পাকিহানাদার বাহিনী উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। এ হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছিলেন, এলাকার ১২৮ নিরীহ মুক্তিকামী মানুষ। সেদিন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন ১৮ জন। তাদের একজন হলেন, মমতাজ উদ্দিন। কোমরে বুলেট নিয়ে আজও তিনি বেঁচে আছেন। বর্তমানে পাকুড়িয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারীর পদে তিনি কর্মরত আছেন। তিনিই জানালেন ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবসের ট্র্যাজেডির এ কাহিনী। মমতাজ উদ্দিন জানান, বাংলা তারিখ মতে দিনটি ছিল ১১ ভাদ্র, শনিবার। কাকডাকা ভোর। প্রতিদিনের মতো সূর্যোদয়ের প্রত্যাশায় সবেমাত্র ঘুম ভাঙছে গ্রামবাসীর। হঠাৎ গুলির শব্দে ঘুমের ঘোর কাটে তাদের। গ্রামবাসী ঠিক ঠাহর করতে পারেননি কোথায় এই অশনি সংকেত। গ্রামের স্কুল মাঠের দিকে নয়ত! এরপর আর ফুরসত নেই। ততক্ষণে বন্দুকের নল উঁচিয়ে পাকিস্তানী হানাদাররা ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকে পড়েছে গ্রামের ভেতরে। একটু চালাকি করলেই বুক ভেদ করবে ঘাতকদের বুলেট।
×