ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাপটিল ও ল্যাথামের সেঞ্চুরির কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ;###;১ উইকেটে হার জিম্বাবুইয়ের

নিউজিল্যান্ডের সমতা

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৫ আগস্ট ২০১৫

নিউজিল্যান্ডের সমতা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুইয়েকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১এ সমতা ফেরাল সফরকারী নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৫ রানে থেমে যায় স্বাগতিক জিম্বাবুইয়ের সংগ্রহ। সাত নম্বরে নেমে ৯৫ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ঠিক ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। ৩৫তম ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরির। তবে প্রথম ম্যাচে তিন শতাধিক রান অতিক্রম করে জয় তুলে নেয়া জিম্বাবুইয়ের হয়ে এদিন আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ ওপেনার চামু চিভাবার। তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ৩৩ ও শন উইলিয়াস ২৬ রান করে আউট হন। কিউইদের হয়ে ইস সোধি ৩ ও গ্রান্ট ইলিয়ট নেন ২ উইকেট। জবাবে জিম্বাবুইয়ে বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতে ওঠেন দুই কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও টম ল্যাথাম। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৪২.২ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। গাপটিল ১৩৮ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১৬ এবং ল্যাথাম ১১৬ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে ১১০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। ব্যাটিংয়ের অপূর্ব প্রদর্শীতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই ব্ল্যাক ক্যাপস উইলোবাজ। ২৩৬*Ñ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয়সেরা ওপেনিং জুটির রেকর্ড এটি। গাপটিলের অষ্টম ও ল্যাথাম তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় মাচটি নিয়ে বাড়তি আগ্রহের কারণ অবশ্যই প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুইয়ের সেই দুর্দান্ত জয়। স্মরণীয় সাফল্যের দিনে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০৩ রান করেছিল সফরকারী নিউজিল্যান্ড। জবাবে ম্যাচের ‘নায়ক’ ক্রেইগ অরভিনের ম্যারাথন সেঞ্চুরির (১৩০*) ওপর ভর করে ৪৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল জিম্বাবুইয়ে! তিন শ’র অধিক লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছিল স্বাগতিকরা। ১৪.৫ ওভারে ৭৪ রান এনে দেন দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও চামু চিভাবা। ৪২ রান করে আউট হন চিভাবা। এরপরই মাসাকাদজার সঙ্গে যোগ দেন অরভিন। বিশ্বের অন্যতমসেরা বোলিংয়ের বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর ব্যাটিংই করেন দুজনে। দ্বিতীয় উইকেটে ২০ ওভারে ১২০ রান যোগ করে দলকে স্মরণীয় একক জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। ৮৪ রান করে আউট হন মাসাকাদজা। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি তুলে নেন অরভিন। ১০৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১৩০ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। উদ্ভাসিত নৈপুণ্যের সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারল না স্বাগতিকরা। অধিনায়ক এলটন চিগম্বুরা বলেছিলেন, তিন শ’ রান টপকে জয় প্রমাণ করে বিশ্ব ক্রিকটে এখনও আমরা বড় দলগুলোকে হারানোর সামর্থ্য রাখি। তবে মনে রাখতে হবে প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে। ওরা দারুণ শক্তিশালী। যে কোন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রাখে।’ সেই শাঙ্কাটাই সত্যি হলো। উল্টো দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকটের বড় জয়ে তাদের ক্রিকেট খেলা শিখিয়ে দিল কিউইরা! একই ভেন্যু হারারেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শুক্রবার। স্কোর ॥ জিম্বাবুইয়ে ২৩৫/৯ (৫০ ওভার; রাজা ১০০*, চিভাবা ৪২, পানিয়াঙ্গারা ৩৩; সোধি ৩/৩৮, ইলিয়ট ২/২৭), নিউজিল্যান্ড ২৩৬/১০ (৪২.২ ওভার; গাপটিল ১১৬*, ল্যাথাম ১১০*) ফল ॥ নিউজিল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ গাপটিল ও ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড) সিরিজ ॥ তিন ওয়ানডের সিরিজ ১-১ এ চলমান।
×