ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ২৬ জুন ২০১৫

ঝলক

বিড়াল ছানা, কুকুর ছানা দেখামাত্র কার না ইচ্ছা করে আদর করতে, একটিবারের জন্য ছুঁতে; স্নেহের হাত বুলিয়ে দিতে। আর যদি হয় বাঘের ছানা। তাহলে? ইচ্ছা তো আরও প্রবল হওয়ারই কথা। বনকর্মীর মেয়ে হওয়ায় সুযোগটা পেয়েও যান ভারতের বিন্নি সিকদার নামের এক কিশোরী। ওই কিশোরীর পিতা সমীর সিকদার ডুয়ার্সের বন কর্মকর্তা। তিনি উদ্ধার করেন একটি চিতা বাঘের ছানা। বিধি অনুযায়ী বাঘের ছানাটিকে রেসকিউ সেন্টারে হস্তান্তর করাই দস্তুর ছিল। জানা গেছে, তিনি করতেনও তাই! তবে শুধু একদিনের জন্য নিজের ঘরে রেখে দিয়েছিলেন মাত্র। এতেই যেন আকাশের চাঁদ হাতে পায় কন্যা বিন্নি। সুযোগ ঘটে বাঘের ছানা ছোঁয়ার, আদর করার। এটুকু পর্যন্ত কোন বিপত্তিই ছিল না। ঝামেলা পাকিয়েছে অন্য জায়গায়। বাঘের ছানা ছোঁয়া বলে কথা! বিষয়টা গর্বেরও। এতবড় গর্বের কাজ! আর তা ফ্রেমবন্দী করে ফেসবুকে দেব না, তা কি হয়। ব্যস! এই সরল চিন্তাতেই ওই বাঘের ছানার সঙ্গে কয়েকটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে বসে বিন্নি। বিপত্তি বাধে এখানেই! তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ওই কিশোরী। ওই কিশোরীর বাবাকে শোকজ করে বন কর্তৃপক্ষ। ‘বন্যপ্রাণীটিকে নিয়ে বিনোদনমূলক ছবি ফেসবুকে সবার সামনে তুলে ধরাটা যে প্রাণিবিধির লঙ্ঘন, তা বিন্নি জানত না। সে মূলত না জেনে বুঝেই কাজটি করে বসেছে’Ñ এমন বক্তব্য তুলে ধরে পার পেয়েছেন ওই বন কর্মকর্তা। আর তার মেয়েও তৎক্ষণাত দুঃখ প্রকাশ করে ছবিটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেয়। আর ওই চিতা বাঘের ছানাটি ঠাঁই পায় যথাস্থানে। বর্তমানে সেটি স্থানীয় এক রেসকিউ সেন্টারে রয়েছে। কুকুরের দলবদ্ধ মরণ-ঝাঁপ! শতাব্দী প্রাচীন একটি পরিত্যক্ত ব্রিজ থেকে মরণ-ঝাঁপ দিল ৬০০ কুকুর। ৫০ ফুটের ওই ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়েই চলেছে একের পর এক সারমেয়। আত্মঘাতী কুকুরগুলোর মধ্যে ৫০টির মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্কটল্যান্ডের ডামবার্টন শহরের ওই প্রাচীন সেতুটির নামই হয়ে গিয়েছে ‘সুইসাইড ব্রিজ’। একই দিনে পালে পালে কুকুর একসঙ্গে ঝাঁপ দিয়েছে ওই সেতু থেকে। ঘটনাটিকে অতিপ্রাকৃতিক বিষয় হিসেবেই দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, ওই ব্রিজটি আসলে অভিশপ্ত। অতিপ্রাকৃতিক কিছু একটা আকর্ষণ করছে কুকুরদের। যদিও স্থানীয়দের এই দাবি একেবারেই মানতে নারাজ পশু মনোবিদরা। শতশত কুকুরের এভাবে আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে জোর গবেষণা শুরু করেছেন তারা। বিজ্ঞানীদের মতে, সত্যিকার অর্থে ওই ব্রিজের নিচে থাকা পানিই আকর্ষণ করছে কুকুরদের। তারা হয়ত নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখে বুঝতে না পেরে ঝাঁপ দিচ্ছে ওই পানিতে। লঘু পাপে গুরু দ- ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় হলেও দুই কিশোরের জীবনে তা হয়ে ওঠে মরণময়। ক্ষুধার রয়েছে নিজস্ব ধর্ম। চায় সে খাদ্য। সে ধর্ম পালন করা হয়ে ওঠে কখনও প্রাণঘাতী। ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে ধর্মের নামে ত্যাগ করতে হলো প্রাণবায়ু। ফাঁসির রশিতে ঝুলতে হলো। অপরাধ ছিল না গুরুতর! তথাপিও গুরু সাজা ভোগ করতে হলো। অপরাধ তাদের রোজা ভেঙ্গে সূর্যাস্তের আগেই খাদ্য গ্রহণ। সিরিয়ার দেইর ইজর অঞ্চলের মায়াদিন গ্রামের ঘটনা এটি। দিনের আলোয় ওরা খাবার খাচ্ছিল। আর তা ধরা পরে জঙ্গী আইএসের জিহাদী পুলিশের হাতে। ধরে বেঁধে এনে পুলিশ সদর দফতরের সামনে এক খুঁটিতে গলায় রশি বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। দেহে ঝুলিয়ে দেয়া প্লেকার্ডে লেখা ছিল ‘ধর্মকে অগ্রাহ্য করে রোজা ভেঙ্গেছে ওরা’- আইএসের ধর্মরাজ্য বলে কথা!
×