স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজগোখরা সাপ ধরা, মারা ও বেচাকেনা করা নিষিদ্ধ-এটা জানা ছিল না বাবুল মিয়ার। মঙ্গলবার র্যাব যখন অভিযান চালিয়ে এসব সাপ জব্দ করে,তখন তিনি জানলেন- এটা শুধু নিষিদ্ধই নয়, দণ্ডনীয় অপরাধও ।
তখন বাবুলের প্রশ্ন র্যাবের ছোবল থেকে রাজগোখরাও রেহাই পাবে না, এমনটি তো জীবনেও কেউ কখনও বলেনি। কাজেই তিনি এ অপরাধ না জেনেই করেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু র্যাব বলছে ভিন্ন কথা। বাবুল মিয়া জেনেশুনেই গোপনে এ ব্যবসা করতেন। এটা খুবই লাভজনক ব্যবসা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব দীর্ঘদিন ধরেই বাবুল মিয়ার পিছু নেয়। তার অবৈধ ব্যবসার ওপর সর্বক্ষণিক নজরদারি করার পর তথ্যপ্রমাণাদি হাতে নিয়েই মঙ্গলবার রাজধানীর বসিলা-সাভার লিঙ্ক রোড এলাকায় অভিযান চালানোা হয়। এ সময় ১৭টি রাজগোখরা জব্দ করে র্যাব।
তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অবৈধভাবে সাপ ধরা ও বিষ পাচারের কথা স্বীকারও করেন বাবুল মিয়া। এ জন্য তাকে জেল ও জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাব-২ এর মেজর মোঃ নাসির এ সময় সাংবাদিকদের জানান-‘র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত বাবুলকে এক বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও দু’মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত বাবুল মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মেজর মো. নাসির বলেন, অভিযানে তার কাছে ১৭টি রাজগোখরা পাওয়া গেছে। এ সাপ সংগ্রহ করে তিনি অবৈধভাবে ফার্ম করতে চেয়েছিলেন। এ ছাড়া সাপের বিষ সংগ্রহ করে বাবুল তা বিদেশে পাচার করত। লাইসেন্স ছাড়া সাপ সংগ্রহ এবং এর বিষ সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করাটা অপরাধ। এ জন্যই তাকে সাজা দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, দেশে এ ধরনের একাধিক চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য পাওয়া গেছে। উদঘাটিত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আরও অভিযান চালানো হবে। উদ্ধারকৃত সাপগুলো বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে। সাপের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: