ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদেশে চাকরির প্রলোভন

কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক সংস্থা

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৪ মার্চ ২০১৫

কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক সংস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বিদেশে ভাল চাকরির প্রলোভন দিয়ে রাজশাহী নগরীর শিরইল রেলস্টেশন সংলগ্ন লাইফ ওয়ার্ক এ্যান্ড স্টাডি এ্যাডভাইজার কো. লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ বাজারে মহসিন ও শরিফুল ইসলাম নামে দুই যুবক কোম্পানিটির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ২২ লাখ টাকা হারিয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারিতরা জানান, জমিজমা ও স্বর্ণ বিক্রি করে ৮ মাস আসে লাইফ ওয়ার্ক এ্যান্ড স্টাডি এ্যাডভাইজার কো. লিমিটেডের মালিক রফিকুল হাসান সানির হাতে দুই দফায় ২২ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর থেকেই প্রতারণা শুরু হয়। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের নিউজিল্যান্ডে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে ঢাকা নিয়ে যায়। সেখানে ৭ দিন তাদের রেখে নানা জটিলতার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই নানাভাবে বাহানা করে সময় কাটাতে থাকে রফিকুল হাসান সানি। পরে টাকার জন্য চাপ দেয়া হলে সানি তার অফিস গুটিয়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী মহসিন আলী অভিযোগ করেন, তাদের পাশের গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সেলিম ও কাউসারের ছেলে রাসেলের কাছ থেকে মালদ্বীপ পাঠানোর নাম করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নাম করে এ কোম্পানির নামে ৪০ থেকে ৪৫ জনের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে সানি। ভুক্তভোগীদের অনেকেই পবার হরিয়ানে সনির বাড়িতে দিনের পর দিন ঘুরেও তার দেখা পাচ্ছে না। জানা গেছে, রাজশাহী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী লাইফ ওয়ার্ক এ্যান্ড স্টাডি এ্যাডভাইজার কো. লিমিটেড নামের কোন কোম্পানির নিবন্ধন নেই। রাজশাহী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান বলেন, অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে টাকা নেয়। প্রতারিত হওয়ার পর আমরা বিষয়টা জানতে পারি। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা মামলাও করতে পারেন। এ বিষয়ে লাইফ ওয়ার্ক এ্যান্ড স্টাডি এ্যাডভাইজার কো. লিমিটেডের মালিক রফিকুল হাসান সানির মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া গেছে। পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহরিয়ার খান বলেন, তারা অভিযোগ এ বিষয়ে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×