ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাসা ও নোয়ার গবেষণা প্রতিবেদন

২০১৪ সাল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

২০১৪ সাল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর

২০১৪ সাল সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল বলে রেকর্ডে দেখা গেছে। এ সময় দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক তাপমাত্রার গড় ০ দশমিক ৬৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি ছিল। ২০০০ সাল থেকে শুরু হওয়া চলতি শতকের ১৫টি বছরের মধ্যে ১৪টিই সবচেয়ে উষ্ণ। মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল এ্যারোনেটিক্স এ্যান্ড স্পেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) ও ইউএস ন্যাশনাল ওসেনিক এ্যান্ড এ্যাটমোস্ফিয়ারিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া) শুক্রবার তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৮৮০ সাল থেকে পৃথিবীর বছরভিত্তিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। সেই রেকর্ডই বলে দিচ্ছে, ২০১৪ ছিল উষ্ণতম বছর। গত বছর পশ্চিম আমেরিকার আলাস্কা, আরিজোনা ও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। কোন কোন জায়গায় স্বাভাবিকের থেকে ১০-১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার পূর্ব দিকের ছবিটা ছিল ঠিক তার উল্টো। হাড় কাঁপানো শীত ও হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা ছিল নিউইয়র্ক, বস্টন, ওয়াশিংটনে। ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত উপাত্ত থেকে দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা হিসাব করা হয়েছে। নোয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থল ও সমুদ্রের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা আগের উষ্ণতম বছর ২০০৫ ও ২০১০ সালের রেকর্ড সহজেই ভেঙ্গে দিয়েছে ২০১৪ সাল। টানা ৩৮ বছরের মধ্যে গত বছরই দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক তাপমাত্রার গড় সবচেয়ে বেশি ছিল। ১৮৮০ সালের পর থেকে ১০টি সবচেয়ে উষ্ণ বছরের মধ্যে নয়টিই একবিংশ শতকের। আর উষ্ণতম বছরের মধ্যে ১৯৯৮ সাল চতুর্থ স্থানে আছে। ১৯৯৮ সালে এক দল আবহাওয়াবিদ দাবি করেছিলেন, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য উষ্ণায়নকে দায়ী করা যাবে না। প্রশান্ত মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়াই পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ। পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধির সেই ভৌগোলিক ‘ঘটনা’র নাম দেয়া হয়েছিল ‘এল নিনো’। এই এল নিনোর কথা বলে গত আট বছর ধরে বহু আবহাওয়াবিদ বলে এসেছেন, উষ্ণায়ন রুখতে যথেষ্ট সফল আমেরিকা। কিন্তু আবহাওয়াবিদেরা গত বছর প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনোর কোন প্রভাব খুঁজে পাননি। নাসার গডডার্ন ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের পরিচালক গেভিন এ শ্মিডের কথায়, উষ্ণায়নের জন্য তো তাপমাত্রা বাড়ছেই। তারপর আবার যখন এল নিনো হবে, সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেবে সেই তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই যে ধাঁচ, তা সহজে পাল্টাবে না। তাপমাত্রা বাড়ার প্রধান কারণ উষ্ণায়ন। সেই কারণটি যতক্ষণ থাকছে, তাপমাত্রা বেড়েই চলবে। টানা উষ্ণ বছর তথা টানা উষ্ণ দশকের মধ্যে সর্বশেষ সাম্প্রতিক উষ্ণ বছর ২০১৪।- বিবিসি ও টেলিগ্রাফ।
×