ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মধুমতি নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়া স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ৬ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ২৩:৪৬, ৬ আগস্ট ২০২৫

দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মধুমতি নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়া স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু

দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার মধুমতি নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধে সিসি ব্লক ধসে পড়া সেই স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভাঙনকবলিত স্থানে প্রায় তিন হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই স্থানে জিও ব্যাগ ফেলানোর কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে সোমবার (৪ আগস্ট) ভোর থেকে উপজেলার গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মিলনস্থল চর আজমপুর এলাকায় মধুমতি নদীর বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধের আনুমানিক ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়ে। এতে নদীর তীরে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে বিষয়টি নিয়ে ওই দিনই দেশের প্রথম সারির পত্রিকা দৈনিক জনকন্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে শুরু হয় সমালোচনা।

ওই এলাকার নদীর বাম তীর রক্ষায় ৩০০ মিটার বাঁধের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে এটি এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে বাঁধের আনুমানিক ৩০ মিটার ধ্বসে পড়ে সিসি ব্লকগুলো পর্যায়ক্রমে নদীগর্ভে চলে যায়।

২০২৩ সালের ৬ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ফরিদপুর ও মাগুরা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ‘মধুমতি নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এটি ২৮টি প্যাকেজে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী এলাকার সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, মধুমতি নদীর বাম তীর রক্ষায় ২ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর এলাকায় ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য কাজ পায় মেসার্স লিটন মল্লিক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ১২ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এ কাজ শুরু হয়। গত ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

জিও ব্যাগ ফেলানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে মেসার্স লিটন মল্লিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, বাঁধের ধসে যাওয়া অংশে ভাঙন ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে প্রায় তিন হাজার জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। বর্তমানে বাঁধের ওই স্থানে ভাঙন বন্ধ হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন  বলেন, ইতিমধ্যে ওই স্থানে আমাদের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ধসে যাওয়া অংশে জিও ব্যাগ ফেলানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পানি কমলে পুণরায় ব্লক বসানো হবে। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় দায়িত্ব তাদের। কাজের মান পরীক্ষা করেই তারপর প্রকল্প বুঝে নেওয়া হবে।

 

রাজু

আরো পড়ুন  

×