
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরে ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’ স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে একটি ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক উদ্যোগ। জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে এই কর্নারটি স্থাপন করা হয়। তরুণদের সৃজনশীল অংশগ্রহণে জেলা পরিষদের আয়োজনে ‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব’ প্রতিপাদ্যভিত্তিক আয়োজিত আইডিয়া প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে।
গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ও গাইডলাইন অনুসরণ করে গাজীপুর জেলা পরিষদ ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জমা পড়া ৬৯টি আইডিয়ার মধ্যে বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’ স্থাপন প্রস্তাবটি।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে আগত হাজারো যাত্রী ও পথচারীর জন্য একটি উন্মুক্ত নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। শুধু পানি নয়, এই কর্নারটি হয়ে উঠেছে শহীদ মুগ্ধর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং সমাজে মানবিকতা চর্চার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এই সেবামূলক কর্নারের শুভ উদ্বোধন করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আরেফীন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মোঃ যাবের সাদেক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত প্রকৌশলীরা, আইডিয়া প্রস্তাবকারী দলের সদস্যরা, জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এবং জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
আয়োজকরা জানান, এই উদ্যোগ কেবল একটি পানির কর্নার নির্মাণ নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে মানবিক সেবা, তরুণ চিন্তার বিকাশ এবং ঐতিহাসিক চেতনার বিস্তারের প্রতীকী প্রয়াস। ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’ এখন গাজীপুরে মানবিকতার নতুন ঠিকানা।
তারা আরও বলেন, এই উদ্যোগের ফলে শহীদ মুগ্ধর মানবিক ত্যাগ ও সেবার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস চর্চার ধারা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি সমাজে সেবামূলক কর্মকাণ্ডের চর্চা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে দেশব্যাপী ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’ নির্মাণের অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে পড়বে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ও চেতনা আরও গভীরভাবে প্রোথিত হবে।
মিমিয়া