ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

পাইকগাছায় লো-ভোল্টেজ ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি: দুর্ভোগে ৯০ হাজার গ্রাহক

আশরাফুল ইসলাম সবুজ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পাইকগাছা, খুলনা

প্রকাশিত: ০০:৫১, ২৮ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০১:০৮, ২৮ জুলাই ২০২৫

পাইকগাছায় লো-ভোল্টেজ ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি: দুর্ভোগে ৯০ হাজার গ্রাহক

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন এসেছে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের সাতক্ষীরা থেকে। দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিয়ে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে ঘন ঘন সমস্যা দেখা দেওয়ায় জোনাল অফিসের আওতাধীন প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহককে প্রতিনিয়ত ভুগতে হচ্ছে লো-ভোল্টেজ এবং দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায়।

পল্লী বিদ্যুৎ পাইকগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, সাতক্ষীরা থেকে সরাসরি নয়— বিদ্যুৎ আসে প্রথমে কয়রার হাতিয়ারডাঙ্গা সাবস্টেশনে, সেখান থেকে পাইকগাছা সাবস্টেশনে। ৩৩ হাজার কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন এই সোর্স লাইনে যাত্রাপথে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ শক্তি কমে গিয়ে পাইকগাছায় এসে দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ২২ হাজার কেভিতে। ফলে স্বাভাবিক ভোল্টেজ পাওয়া যাচ্ছে না, বরং দেখা দিচ্ছে নানা রকম বিভ্রাট। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১১ হাজার কেভি বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি, যা এই অঞ্চলের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।
উপজেলার চাঁদখালী এলাকার গৃহবধূ সামিয়া আফরীন বলেন, সন্ধ্যার পর ফ্যান চলে না, পানির মোটরও কাজ করে না। মাঝরাতে কিছুটা ভোল্টেজ বাড়ে, তখনই যেন স্বস্তি মেলে। গত ২৬ জুলাই( শনিবার) পাইকগাছায় দিনে অন্তত ৮–১০ বার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। এর আগের দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে ফের আসে রাত সাড়ে ৮টায়, প্রায় ৫ ঘণ্টা পর।

বর্তমানে পাইকগাছা জোনাল অফিসের আওতায় থাকা ৮৭ হাজার ২৪৩ গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। তবে ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ডিজিএম সঞ্জয় কুমার সরকার। তিনি জানান, পাইকগাছায় একটি নিজস্ব গ্রীড সাবস্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। শিববাড়ি ব্রিজের পূর্ব পাড়ে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। গ্রীড চালু হলে আর লো-ভোল্টেজ ও লোডশেডিং থাকবে না।
সর্বোপরি, এখন দেখার বিষয়—প্রতিশ্রুত এই গ্রিড বাস্তবে কবে আলোর মুখ দেখে এবং পাইকগাছাবাসীর দুর্ভোগ কবে শেষ হয়।

ফারুক

×