
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলো রাজবাড়ীর কিশোর জারিফ ফারহান। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ২৬ জুলাই (শনিবার) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ন্যাশনাল বার্ণ ইউনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে।
মাত্র সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জারিফ ছিলো উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর হোসনাবাদে হলেও পরিবারসহ সে বসবাস করছিলো উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে। তার বাবা হাবিবুর রহমান লিটন একজন ব্যবসায়ী এবং মা রিমি গৃহিণী, বড় মেয়ে অনার্সে অধ্যয়নরত।
প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শনিবার বাদ আসর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরার স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর রাজবাড়ীর হোসনাবাদেও নেমে আসে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জারিফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
জারিফের বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিটু মীর লিখেছেন, “আসলে কী লিখবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না লিখতে গিয়ে, বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আজ হৃদয়ে যেন এক বিশাল ঝড় বইছে। দু’চোখ অশ্রুসজল, নিষ্পাপ মুখে ব্যান্ডেজের ঘন ছায়া। বিনীত অনুরোধ, সবাই অন্তর থেকে দোয়া করবেন লিটনের ছেলে জারিফের জন্য।”
এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু যেন গোটা সমাজকেই নাড়িয়ে দিয়েছে—ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বল মুখ নিভে গেল আগুনের হলকায়।
রিফাত