ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

শেরপুরে শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন: ‘শিক্ষকের সম্মান জাতির সম্মান’- অধিকার আদায়ে ঐক্যের আহ্বান

মারুফুর রহমান, শেরপুর

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ২৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২৩:৪১, ২৬ জুলাই ২০২৫

শেরপুরে শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন: ‘শিক্ষকের সম্মান জাতির সম্মান’- অধিকার আদায়ে ঐক্যের আহ্বান

“শিক্ষক সমাজকে আর অবহেলা নয়, তাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে”- এই প্রত্যয় নিয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫।

শহরের ঐতিহ্যবাহী গোবিন্দ কুমার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, শিক্ষক নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বগণ অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এর চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া।

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। একটি জাতিকে উন্নত করতে হলে আগে শিক্ষক সমাজের আর্থিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ কে এম আব্দুল আওয়াল, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশীদ পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক, ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির শেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. মহসীন আলী আকন্দ এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মো. আজহার আলী।

বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষকরা আজ নানা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার। বহু প্রতিষ্ঠানে বেতন বাকি, পদোন্নতি ঝুলে থাকা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কলেজ পর্যায়ে প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা বাণিজ্যসহ দুর্নীতির নানা চিত্র তুলে ধরেন তারা।

সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, 
* সকল স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য নিরসন।
* বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি করণে স্বচ্ছতা।
* অবসরের পর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত
* শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা।

বক্তারা বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য শিক্ষক সমাজকে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হতে হবে।

সম্মেলন শেষে আয়োজকরা বলেন, “এ সম্মেলন শুধু নেতৃত্ব নির্বাচনের নয়, বরং শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের নতুন জাগরণ সূচনার প্রতীক।”

সবার কণ্ঠে ছিল একটাই বার্তা, ‘শিক্ষকের সম্মান জাতির সম্মান, আর তা রক্ষায় আমরা একতাবদ্ধ।’

রাজু

×