
ছবি: জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালিতে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের নির্মমতার শিকার হলেন এক আমেরিকা প্রবাসী নববধু। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে বসতঘরের জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে একদল মুখোশধারী ডাকাত।
ঘরের ভেতরে থাকা শিশুসহ সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সকল সদস্যের হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাদের একটি আলাদা কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর স্বামীর সামনেই তার নববধুকে চারজন মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এই নির্মম ঘটনার পর ডাকাতরা ঘরের আলমারি ভেঙে ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, ডাকাতরা প্রথমে আলমারির চাবি দাবি করে এবং শাশুড়ির কাছ থেকে তা নিয়ে লুটপাট শুরু করে। ঘরের অন্যান্য মালামালও ভাঙচুর করে তারা। প্রবাসীর স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, "আমার বাড়ির পাশে ডাকাতি হয়েছে, ধর্ষণ হয়েছে। আমরা কিভাবে নিরাপদে বসবাস করব? আমাদের মা আছে, বোন আছে, মেয়ে আছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।"
এদিকে, কলাপাড়া থানা পুলিশ সন্দেহভাজন দুজনকে ইতোমধ্যে আটক করেছে এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান থানার ওসি। তিনি বলেন, "আমাদের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সার্কেল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।"
তবে এই ঘটনার পর ৫ আগস্ট পর্যন্ত একাধিক ডাকাতি, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটলেও পুলিশি তৎপরতা দৃশ্যমান নয় বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও এলাকার দোসরদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে না পারলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে পুরো এলাকা।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি—নজরদারি বাড়ানো, চেকপোস্ট বসানো এবং পুলিশের টহল জোরদার করার পাশাপাশি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র:https://youtu.be/-UPT_TYyCe0?si=N_BV54SrNDbPapQf
ছামিয়া