ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

স’মিলের আড়ালে মাদক কারবার, গ্রেপ্তার ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, কুমিল্লা

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১৫ জুলাই ২০২৫

স’মিলের আড়ালে মাদক কারবার, গ্রেপ্তার ৪

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপুর বাজার এলাকায় বিসমিল্লাহ স’মিলের দোতলা টিনশেড অফিস কক্ষকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল মাদক কারবার। মঙ্গলবার(১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘনা থানা পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ পিস ইয়াবা, দুই কেজি গাঁজা এবং মাদক বিক্রির নগদ ৭০ হাজার ৭০০ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘনা থানার উপ-পরিদর্শক (নিঃ) মো. সুদীপ্ত শাহীন।

পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে থানার মোবাইল টিম গোপন সূত্রে জানতে পারে, রামপুর বাজারসংলগ্ন ওই স’মিলের দোতলা অফিসে কয়েকজন ব্যক্তি মাদক কেনা-বেচা করছে এমন খবরের ভিত্তিতে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থল থেকেই চারজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন-রামপুর এলাকার মৃত সাফর আলী ওরফে ছাবের আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫), তার ছেলে রাহাদ ওরফে শ্যামল আবরার (২২), রমিজ উদ্দিনের ছেলে আরিফ মিয়া (৩৫) এবং আব্দুল করিমের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০)। তল্লাশিতে আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে ৬০ পিস ইয়াবা ও ৭০ হাজার ৭০০ টাকা, রাহাদের প্যান্টের পকেট থেকে ২০ পিস ইয়াবা এবং আরিফ মিয়ার হাতে থাকা একটি নীল পলিথিন ব্যাগ থেকে দুই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

উপ-পরিদর্শক(এসআই) সুদীপ্ত শাহীন জানান, আব্দুল মান্নান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১টি ডাকাতি মামলাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। আটক আরিফ মিয়ার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা।

অভিযানে পুলিশের এএসআই মামুন জিহাদী, স্থানীয় নাইটগার্ড বাবু ও মো. মজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে জব্দ আলামতের তালিকা তৈরি করে সাক্ষ্যগ্রহণের পর স্বাক্ষর নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল মান্নান স্বীকার করেন, তিনি ও তার ছেলে এবং আরও দুই সহযোগী মিলে স্বল্প দামে ইয়াবা ও গাঁজা কিনে বেশি দামে বিক্রি করতেন। স’মিলের অফিসটিকে তারা মাদক কারবারের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতেন।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) সারণির ১০(ক)/১৯(ক)/৪১ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করে মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মাদকের উৎস ও পেছনের মূল হোতাদের শনাক্ত করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

মিরাজ খান

×