ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বেড়িবাঁধ ও ইছামতি নদী পরিদর্শনকালে 

আর কাউকে নদী দখল করতে দেব না: ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ১৪ জুলাই ২০২৫

আর কাউকে নদী দখল করতে দেব না: ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াখালী- সোনাবাজু বেড়িবাঁধ ও ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

এসময় তিনি ইছামতি নদীকে বাঁচাতে দ্রুত বেড়িবাঁধের সাথে নদীর স্রোত ধারা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্লুইসগেট স্থাপনের আহ্বান জানান।

সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ইছামতি নদী পরিদর্শন শেষে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, ইছামতি নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল আমাদের এ অঞ্চলের মানব সভ্যতা। কৃষি নির্ভরতায় ইছামতি ছিল প্রাণ। ধান, পাট সহ কৃষিপণ্য পরিবহণে এ নৌ-পথই ছিল একমাত্র ভরসা।

তিনি বলেন, আমাদের মৎস্যজীবী ভাইয়েরা তাদের  পরিবারগুলো মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ইছামতি নদীতে স্লুইসগেট না করেই বেড়িবাঁধ করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমেও দীর্ঘ বছর ধরে ইছামতি নদীতে আগের মতো আর পানি থাকছে না। জেলে পরিবারগুলো বহু কষ্টে জীবন যাপন করছে। 

ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনরা নির্বিচারে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী আটকে মাছ চাষ করেছেন। জেলেদের নদীতে  নামতে পর্যন্ত দেয়নি। এই অবস্থার অবসান করার জন্য আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ইছামতি নদী অবমুক্ত করে দিয়েছে। কেউ যাতে আবার নদী দখল করতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি নদী দখলের ধৃষ্টতা দেখায় তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করব। আমরা আর কাউকে নদী দখল করতে দেবো না। এই নদী সবার। জেলেরা এই নদীতে মাছ ধরবে জীবিকা নির্বাহ করবে। 

তিনি আরও বলেন, আদালত নদীর আইনি অধিকার নিশ্চিত করলেও, ইছামতির ক্ষেত্রে তা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। দেশের সর্বোচ্চ আদালত নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সুইস গেট না দিয়ে বাঁধ নির্মাণের ফলে ইছামতি নদী আজ বিলুপ্তির পথে। নদীতে পানি না থাকায় কচুরিপানায় ভরে গেছে। আর কয়েকমাস পরেই কচুরিপানা পচে পানি নষ্ট হয়ে যাবে।  দুর্গন্ধ ছাড়াবে পুরো এলাকা। দূষিত হবে পরিবেশ। তাই সরকারের কাছে আমার আহ্বান ইছামতি নদীকে  মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে দ্রুত সোনাবাজু- কাশিয়াখালী বেড়িবাঁধে প্রয়োজনের সংখ্যক স্লুইসগেট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। 

ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নবাবগঞ্জ সদর থানার আমীর ও ঢাকা জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিয়েটর এডভোকেট মো. ইব্রাহিম খলিল, নবাবগঞ্জ পশ্চিমের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদসহ জামায়াত ও শিবিরেরর নেতৃবৃন্দ।

মিরাজ খান

×