ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

ভাড়া বাসায় মা, মেয়ে-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা—দেবর পলাতক

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১৪ জুলাই ২০২৫

ভাড়া বাসায় মা, মেয়ে-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা—দেবর পলাতক

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়া বাসায় মা, মেয়ে ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে দেবর নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

নিহতরা হলেন, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার (২৫), তার দুই শিশু সন্তান রাইসা আক্তার (৪) ও ছেলে নিরব মিয়া (২)। রফিকুল নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চেলের ঘাট এলাকার বাসিন্দা। সে ভালুকার স্থানীয় রাসেল মিলে চাকরি করতেন।

সোমবার (১৪ জুলাই) ভোররাতে ভালুকা পৌর শহরের টিএনটি রোডের হাইয়ুমের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মা মেয়ে-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, স্ত্রী ময়না আক্তার ভালুকার রাজই ইউনিয়নের কুল্লাব এলাকার বাসিন্দা। ২০১৭ সালে রফিকুলের সাথে ময়নার বিয়ে হয়। তারপর থেকে রফিকুল স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ভালুকায় বসবাস করতেন। গত দেড় মাস আগে পৌর শহরের টিএনটি রোডের হাইয়ুমের বাসায় ভাড়া উঠেন তারা। একই বাসায় বসবাস করতেন রফিকুলের ভাই নজরুল ইসলাম। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন রাতে রফিকুল রাসেল মিলে রাতের ডিউটিতে চলে যান। সকালে রফিকুল বাসার গেইট বন্ধ পেয়ে স্ত্রী সন্তানকে ডাকাডাকি করেন। তবে, কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে গেইট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। ভিতরে প্রবেশ করে তার রুমে বাইরে থেকে তালা দেয়া দেখতে পান। তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বিছানায় গলাকাটা মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে রফিকুল থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রফিকুলের সাথে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন তার ভাই নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলামের রুম তল্লাশি করে হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়। আমরা মোটামুটি নিশ্চিত নজরুল পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তার ভাবি-ভাতিজা-ভাতিজিকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আবির

×