
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দোহাজারী মহাসড়কে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সড়ক ও মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অবৈধ হাটবাজার, স্থাপনা ও অবৈধ সিএনজি পার্কিং দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় নিত্যদিন কোনো না কোনো জায়গায় ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ, পঙ্গু হচ্ছে শত শত পথচারী। বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেও মিলছে না কোনো সুরাহা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের সামনেই মহাসড়কের উপর বসেছে হাটবাজার, অটোরিকশা ও সিএনজির পার্কিং। তবে কেন প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এসব দোকানপাট ও হাটবাজার বসানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি বাসচালকদের। গত বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ দোহাজারীতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ একজন অটোরিকশা চালকের আকস্মিক মৃত্যু হয়।
যানবাহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বৈধ যানবাহনের তুলনায় অবৈধ যানবাহনের সংখ্যাই বেশি।
কয়েকজন বাসচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি একটি হাইওয়ে সড়ক, যেখানে প্রতিদিন দ্রুত গতির যানবাহন চলাচল করে। সড়কের ওপর অটোরিকশা পার্কিং ও হাটবাজার গড়ে ওঠার কারণে অনেক সময় বাসের সঙ্গে অটোরিকশা বা সিএনজির ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। তারা আরও জানান, চলন্ত বাসের সামনে হঠাৎ বেপরোয়া ভাবে তিন চাকার গাড়ি ঘোরানোর সময় সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক করা সম্ভব হয় না, আর তাতেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ হলেও পুলিশের নাকের ডগায় এগুলো চলাচল করছে। এসব হালকা যানের চালকরা অনেক সময় ভারী যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দেয়, মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করে, কখনো বড় যানবাহনকে সাইড না দিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করে।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) ও দোহাজারী পৌর প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, মহাসড়কের দু'পাশে হাটবাজার বসানোর কারণে অনেকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের পর আবারো তারা মহাসড়কের উপর বাজার বসাচ্ছে।
সানজানা