
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহীম হোসেন বাবু'র (৩০) বাড়িতে যান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন ও সান্ত্বনা দেন। করেন কবর জিয়ারত। এরপর সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মাঝের পাড়ার ওই নিহতের বাড়িতে যান।
বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহীম হোসেনের বাড়িতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সম্বনয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, নুসরাত তাবাসসুম সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রতিনিধি দল গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এনসিপির প্রতিনিধি দল নিহতের বাড়ি গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহতের পিতা নুর ইসলাম, মা হাজেরা বেগম, স্ত্রী সাহিনা বেগম ও একমাত্র ৩ বছরের শিশু কন্যা আয়েসা খাতুনের পাশে বসে যাবতীয় ঘটনা শোনেন।
পরে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম নিহত পরিবার ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, বিষয়টি আমরা ও আমাদের সংগঠন দেখবো। আপনারা এই পরিবারের পাশে থাকবেন। পরে এনসিপি প্রতিনিধি দলটি নিহত ইব্রাহীম হোসেনের কবর জিয়ারত করেন। কিছু সময় নিরবে দাড়িয়ে থাকেন। পরে সীমান্ত এলাকার দিকে যান ও ইব্রাহীমের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা দেবোনা বলে স্লোগান দেন। এরপর দর্শনা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সাধারন মানুষের সাথে মতবিনিময় শেষে ঝিনাইদহ জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
উল্লেখ্য, ২ জুলাই দুপরে ইব্রাহীম হোসেন সহ কয়েকজন মিলে সুলতানপুর সীমান্তের গালার মাঠে বাংলাদেশের অভ্যন্তের ঘাস কাটার জন্য যায়। এ সময় অসাবধানতাবশত সীমান্তের ৭৯নং মেইন পিলারের পাশ দিয়ে ভারতে ঢুকে যায়। ৩২ বিএসএফ হালদাপাড়া ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে ইব্রাহীম হোসেন গুলিবৃদ্ধ হয়ে মারা যায়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নিহতের স্বাজনরা লাশ ফিরে পেতে চায়। ৮ জুলাই রাতে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশের বিজিবি এবং দর্শনা থানা পুলিশের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করে।
রিফাত