
ছেলে যাবে বাবার সাথে দেখা করতে ও মা যাবে গার্মেন্টে চাকরি করতে স্বামীর কাছে। বাবার সাথে দেখা হওয়ার আগেই নিভে গেল ছোট্ট ছেলে শ্রাবণের জীবন প্রদীপ। বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-ছেলে সহ তিন সিএনজি যাত্রীর। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি সোমবার দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-জয়দেবপুর-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ীর বাঘিল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটে।
থানার ওসি এসএম শহিদুল্লাহ জানান, যাত্রীবাহী একটি সিএনজি জামালপুরের দিগপাইত থেকে ময়মনসিংহের ভালুকায় যাচ্ছিলো। ঢাকা-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের বাঘিল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী মাহী এক্সপ্রেস নামের একটি বাসের সাথে ধাক্কায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজিতে থাকা দুই যাত্রী মা ও ছেলেসহ তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এসময় সিএনজি’র চালকসহ আরও এক বৃদ্ধা নারী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। নিহতদের উদ্ধার করে থানায় ও আহতদেরকে ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
নিহতরা হলেন– জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বারইপটল গ্রামের মজিবর রহমান জোয়ার্দারের মেয়ে কাজল রেখা (৪০) ও তার ছেলে শ্রাবণ (১৫), ও ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার সূর্য এর স্ত্রী নিহত ফুলকুমারী (৩৫)। আহত বৃদ্ধা বসন্তী (৫০) ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা। সিএনজি চালক পলাতক রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
নিহত কাজল রেখার বয়োবৃদ্ধ বাবা মজিবর রহমান জোয়ার্দারের কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার মেয়ে সকালে ছোট ছেলে শ্রাবণকে নিয়ে তার বাবার সাথে দেখা করাবে ও কাজল চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলো। সড়ক দুর্ঘটনায় মরে গেল গো, আমার আর কোনো ছেলে-মেয়ে নাই, আমাকে ওই মেয়েই দেখতো গো। এখন আর দেখার কেউ থাকলো না।
আফরোজা