
ছবি:বাঁয়ে হত্যায় অভিযুক্ত শামীম ডানে নিহত রুহুল আমিন
সম্প্রতি সাভারের বাজার রোডে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী রুহুল আমিনকে হত্যার পর আবারও প্রশ্নের মুখে সাভারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি৷ ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন প্রধান আসামি শামীম। কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না পরিবার ও এলাকাবাসীর। তারা বলছেন, পুলিশ-প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে একের পর এক হত্যা ও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এদিকে আসামি শামীমের সর্বোচ্চ শাস্তি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন এলাকাবাসী।
গত ২৭ জুন জুমার নামাজের পর সাভার বাজার রোডের গলিতে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে রুহুল আমিনকে তার বন্ধু শামীম হোসেন সুইস গিয়ার দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে তাকে এনাম মেডিকেলের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে(আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত আটটার দিকে সে হাসপাতালে মারা যায়।
এ ঘটনায় শামীমকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও নিহত রুহুল আমিনের স্ত্রী কাকলি জানান, শুধু শামীম একা জড়িত না, আরও অনেকেই জড়িত। শামীমের মা সব জানতো কিন্তু সে নিরব ভূমিকা পালন করেছে। এসময় তিনি হত্যায় জড়িত সবার বিচার দাবি করেন।
কাকলি বলেন, সাভারে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পুলিশ সব আসামিকে গ্রেফতার করছে না। এ কারণে সবাই প্রশয় পেয়ে আরও উৎসাহী হয়ে অপরাধ ঘটাচ্ছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ড বন্ধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, গত তিন মাসে আড়াপাড়া-বাজার রোড এলাকায় তিনটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এছাড়া, চুরি-ছিনতাই নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মামুন নামে এক এলাকাবাসী বলেন, হত্যা, চুরি-ছিনতাই ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েছে। আমরা এখন আতঙ্কে আছি। প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনকে আমরা এলাকাবাসী মিলে সহায়তা করবো। তবুও জানমালের নিরাপত্তা চাই। এরকম হত্যা আর দেখতে চাই না।
যদিও সাভারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে তেমন ঘাটতি দেখছে না পুলিশ। সার্বিক ব্যবস্থাপনা আগের থেকে ভালে বলেও দাবি ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস্ ও ট্রাফিক উত্তর) আরাফাতুল ইসলামের। তিনি বলেন, 'পরিসংখ্যান ঘাটলে খারাপ বলা যায় না। তারপরও যেসব জায়গায় গ্যাপ আছে সেগুলো আমরা পূরণ করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।'
ছামিয়া