
ছবি: সংগৃহীত।
কুড়িগ্রামের চিলমারী রমনা বাজার রেলওয়ে স্টেশনের অর্ধশত বছরের পুরোনো জীবন্ত একটি গাছে আগুন ধরার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভূতুড়ে কাণ্ড জীবন্ত গাছে আগুন জ¦লছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষণিকেই উৎসুক জনতার উপচে পরা ভীড় জমে যায়।
জানাগেছে, মঙ্গলবার ভোরে রমনা রেল স্টেশন প্লাটফর্মের দক্ষিনের একটি শিল কড়াই গাছের ভিতরের অংশে আগুন দেখতে পায় ফজরের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লী আব্দুর রহিম মেলেটারী ও মাওলানা আবু সাঈদ নামে দুই মুসল্লি। এরপর তারা অন্নান্য মুসল্লী ও পাশের হাফেজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ ছাত্রদের নিয়ে বালতিতে করে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পানি ঢেলে আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে চিলমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এ
ক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও পুরো আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে স্টেশনে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আবার আগুন জ্বলে ওঠে। দুপুর ১২টার দিকে গাছটি আগুনে পুরে অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে পড়ে। বাকি অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকলে আবারো ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন দিলে তারা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
গাছটি ১৯৭৬ সালে স্টেশন প্লাটফর্মের দক্ষিনে রোপন করা হয়েছিল। সে হিসেবে গাছটির বয়স ৪৯ বছর।
স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি নিয়ে সবাই আতঙ্কিত রয়েছে। জীবন্ত গাছে এ ধরনের আগুনের ঘটনা তারা আগে কখনো দেখেনি।
সমাজ উন্নয়ন কর্মী আমিনুল ইসলাম বীর বলেন, ‘অর্ধশত বছরের পুরোনো কড়াই গাছটির ভেতরের অংশ ছিল ফাঁফা। ধারণা করা হচ্ছে কেউ ইচ্ছা করেই গাছের গোড়ায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’
চিলমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘সকালে একবার এসে আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পুন:রায় আবার আগুন জ্বলে উঠেছে। আমাদের একটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে। কে বা কারা গাছটিতে আগুন দিয়েছে, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
রমনা স্টেশনের বুকিং মাষ্টার রায়হান সরকার বলেন, ‘ভেঙ্গে পড়া গাছের অংশ সরানো হলেও গাছটির ক্ষতিগ্রস্থ আরেক অংশ ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
সায়মা ইসলাম