
ছবিঃ জনকণ্ঠ
জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ,পঙ্গুত্ববরণ ও আহতদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকেলে জামায়াতের পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।
এতে জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা. আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে ও পৌর আমীর মাওলানা. ইসাহাক আলীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আমীর তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ। আরও বক্তব্য দেন, বিশেষ অতিথি জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা. সিদ্দিকুল ইসলাম, পিরোজপুর সদর উপজেলা আমীর মাওলানা. ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তাফাজ্জাল হোসাইন ফরিদ বলেন, ২৪শের জুলাই-আগস্টের এই আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে গিয়ে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, অসংখ্য ভাই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। তাদের জন্য আজকের এই দোয়া মাহফিল। আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা কামনা করব, তাদের যেন আল্লাহ হেফাজত করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম আর আন্দোলন হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল একটি কারণে, সেটি হলো সকলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। এদেশের আলেম-ওলামাদের উপরে অত্যাচার করা হয়েছিল। বিনা অপরাধে তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। মায়েদের বুক খালি করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে, এটা সে নিজের মুখে স্বীকার করেছে। তার শাসনামলে গুম, খুন, হত্যাসহ নিরপরা মানুষদের আয়না ঘরে পাঠিয়েছিল।
জামায়াতের জেলা আমীর আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনাকে পতনের জন্য মা বাবা ভাই-বোন ছেলে সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল এবং ৭ দিনের ব্যবধানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তাই ব্যক্তি স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে, জাতির স্বার্থের দিকে তাকিয়ে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার যেন ক্ষমতায় আর না আসতে পারে। সে জন্য তিনি সকলকে আহবান করেন।
আলীম