ইউপিডিএফ সশস্ত্র অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীরা টহলরত নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে এক সেনা সদস্য আহত হয়েছে। রাঙামাটির সদর উপজেলার মৌনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সুষ্পষ্ট তথ্যে ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত করতে গেলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এই হামলার শিকার হন।
নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি শুরু হয়েছে ২৩ জুন রাতে এই ঘটনার পর থেকে উক্ত এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর একটি বড় টিম এলাকায় কর্ডন করে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র মতে, সোমবার (২৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মৌনপাড়া এলাকায় গেলে মেজর সুদর্শন নামে ইউপিডিএফ এর কমান্ডার পরিচয়ে মোবাইল ফোনে টহল কমান্ডারকে হুমকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলেন।
এরপর পর সেনাবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে এবং বাড়তি সদস্য মোতায়েন করে। পরদিন মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাতে, মৌনপাড়া স্কুল এলাকায় ইউপিডিএফ সদস্যদের অবস্থান নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এলাকা ঘিরে ফেলার সময় সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এঘটনায় সেনাবাহিনীর মো. তরিকুজ্জামান খান নামে সদস্য আহত হয়। তার ডান হাতের আঙুল গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ইউপিডিএফ এর তিনজন সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে এলএমজি রাইফেল, গোলাবারুদ ও আইডি কার্ডসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের হলো: (১) মনসুখ চাকমা-৫০, পিতা মৃত; বিন্দু কুমার চাকমা, (২) সিন্ধু মনি চাকমা-২৩, পিতা মনসুখ চাকমা ও (৩) অন্তর চাকমা-১৯, পিতা সোনামুনি চাকমা। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ১টি এসএমজি (সাবমেশিন গান), ১২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলির সময় ঘাগড়া উল্টো পাড়ার এক পাহাড়ি ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ইউ পি ডিএফও এই গুলি লাগার কথা স্বীকার করে এই ঘটনার নিন্দা করেছে।
রাজু
