
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। মঙ্গলবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজু ভাস্কর্যের পিছনে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এরই প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা "ক্যাম্পাসে ককটেল পড়ে, প্রশাসন কী করে?", "ককটেল মেরে ডাকসু, বন্ধ করা যাবে না", "সন্ত্রাস করে ডাকসু, বন্ধ করা যাবে না", "ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেয় সাধ্য কার?", "দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত" স্লোগান দেন।
সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদ বলেন, “ঢাবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে কিছু কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা চায় না ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক। যার কারণে তারা ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। আমরা তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই জাতির ঘাড়ে ১৫ বছর চেপে থাকা ছাত্রলীগকে আমরা বিদায় করেছি। আপনারা সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান, না হলে আপনাদেরও একই পরিণতি হবে।”
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “আপনারা জানেন, ডাকসু নির্বাচন ইস্যুতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে হল প্রভোস্টদের বৈঠক হয়েছে। যারা আজ রাজু ভাস্কর্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তারা ডাকসু নির্বাচন চায় না। দেশকে নেতৃত্বহীন রাখতে এবং ছাত্রসমাজকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতেই এ ধরনের অপচেষ্টা চলছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে যেসব অপশক্তি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রাখতে চায় সেসব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থানে রয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যেও অনেকে ডাকসু নিয়ে গুটিবাজি করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি— ডাকসু নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করতে গেলে আপনাদের পরিণতিও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মতোই হবে। ছাত্রলীগকে হটাতে আমাদের সময় লেগেছিল মাত্র দুই দিন (১৫ ও ১৬ জুলাই)। আপনাদের বিতাড়িত করতে শিক্ষার্থীদের একদিনও লাগবে না।”
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব সাইফুদ্দিন আহমেদ দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ও আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আফরোজা