
কক্সবাজারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সমাজের ভূমিকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে শিক্ষার্থী, স্কাউট ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সর্বস্তরের মানুষের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আজ আমাদের ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। অনিরাপদ ও ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাই নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী, স্কাউট ও কাব স্কাউটদের উচিত পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম শেখা এবং অন্যদের সচেতন করা।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. হাসান আল মারুফ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ, টুয়াক সভাপতি এম রেজাউল করিম রেজা, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাহানারা ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্কাউট সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সেমিনারে নিরাপদ খাদ্য আইন, খাদ্য নিরাপত্তা, নিরাপদ পানি দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ এবং সচেতনতা সৃষ্টির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’ বিষয়ক আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী বাজার মনিটরিং, অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তি, পণ্যের মোড়কে তথ্য যাচাই, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রতারিত হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগ দাখিল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভোক্তা হিসেবে অধিকার জানলে প্রতারণা থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সচেতন করতে হবে।
সজিব