
পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রাম। অত্র গ্রামের সিংহভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে পদ্মা নদী থেকে মাছ ধরে, নদীর বুকে জাগা চড়ে বাদাম, তিল ও কলা উৎপাদন করে।
উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরবরাহ করার জন্য একমাত্র ঘোড়ার গাড়ি অবলম্বন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাদাম ঘোড়ার গাড়িতে সাজিয়ে কৃষক বাড়ি ফিরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাখাল সন্ধ্যা নামার পূর্বে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছে। নদীতে সব খেয়ে গেছে বাবা আমাদের কিছুই নাই৷ এখন দেখি চড় জেগেছে সেখানে বাদাম রোপন ও কলা বাগান তৈরি করেছি, এই ভাবে এই প্রতিবেদকে বলছিলেম, আব্দল খালেক (৬০)।
তিনি বলেন, আমাদের এই সব পন্য সামগ্রী বাজার বা বাড়িতে নেওয়ার জন্য ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের চড়ে যোগাযোগের প্রধাব বাহন ঘোড়ার গাড়ি৷
ঘোরার গাড়ি চালক সালাম (৫০) বলেন, তিন বছর ঘোড়ার গাড়ি চালাচ্ছি। কাজ কর্ম হয় কম বেশি৷ আমাদের ঘোড়ার গাড়ি এই খান থেকে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম। ঘোড়ার গাড়ি ও নৌকা দিয়ে পাবনার জেলার মানুষ অনায়াসে কুষ্টিয়া যাতায়াত করছেন। জেলেরা মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত আছেন।
অত্র মহল্লার কয়েকজন যুবক এই প্রতিবেদকে বলেন, আমাদের সড়ক পথে জেলা শহরে যোগাযোগ একটু কষ্ট হলেও আমরা শহরমুখী জীবন-যাপন করার চেস্টা করি। আমাদের কৃষি কাজ প্রধান হওয়ার পরও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছি।
Jahan