ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে  স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি নির্দেশনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ১১ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:৫৮, ১১ জুন ২০২৫

পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে  স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি নির্দেশনা

ছবি:জনকণ্ঠ

পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি হওয়ার কারণে করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরুরি নির্দেশনা মেনে রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।

 


ঈদের লম্বা ছুটিতে দেশের নানাস্থান থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসে শহরে গিজ গিজ করায় রাঙ্গামাটি এখন নতুন করে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় দেশের দ্বিতীয় পর্যটন নগরী পার্বত্য এই জেলায় করোনার সর্তকতা বাড়ানো হয়েছে।  যার ফলে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরুরি নির্দেশনা মেনে রাঙ্গামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগও করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।

 

পাহাড়, বন আর কাপ্তাই হ্রদ ঘেরা পর্যটন এলাকা রাঙ্গামাটি ।  প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে এখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পর্যটকের আনাগোনা হয়ে থাকে। এবারের কোরবানির ঈদের ছুটিতে প্রচুর ভ্রমণ প্রিয়সীর  সমাগম ঘটেছে। যে কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে রাঙ্গামাটিতে।
জলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান, নৌযান ঘাট গুলোতে স্বাস্থ্য ডেস্ক খোলা, চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখতে বলা হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডা: নূয়েস খীসা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা মোকবেলায় রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আগেই থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’
মানুষের হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সবাইকে প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।অসুস্থ ব্যক্তিকে ঘরে থাকতে হবে এবং মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর সময় রাঙ্গামাটিতে করোনা ঝুঁিকতে ছিল ।ওই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৫৭ জন, মারা গিয়েছিলেন ১০ জন। এবারের ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে।করোনার নতুন ঢেউয়ের মুখে যেন রাঙ্গামাটি নাপড়ে সেই দিকে সকলকে নজর দিতে বলেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

ছামিয়া

×