
মাধবপুর পৌর শহরের পশ্চিম মাধবপুর ও পূর্ব মাধবপুরের দুই এলাকার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকে রাত ৮ পর্যন্ত দেশীয় রামদা সহ বিভিন্ন দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় মাধবপুর বাজারের শত শত ব্যবসায়ী ভয়ে তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। দুদলে বিভক্ত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় সুশান গ্যাস পাম্পের কাছে দুটো দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মাধবপুর ফুসকা বাড়ি নামে একটি দোকানে পূর্ব মাধবপুরের কিছু লোক বিভিন্ন ঝামেলা করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মাধবপুরের কিছু ছেলে পুনরায় দোকানে গিয়ে ঝামেলা করতে চাইলে পশ্চিম মাধবপুরের লোকজন প্রতিবাদ করে। এর জেরে পূর্ব মাধবপুর ও পশ্চিম মাধবপুর এলাকাভিত্তিক বিভক্ত হয়ে দুপুরের পর থেকে মধবপুরে বাজারে রামদা হাতে নিয়ে বাজারে মহড়া দিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। বাজারে দা হাতে নিয়ে মহড়া দেওয়ার কারনে ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে দোকান বন্ধ করে দেন। মাধবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মানিকের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে বাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা করে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মাধবপুর পুলিশ শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে যৌথভাবে মৃদু লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
রাজু