ভোলায় কনের জন্য বরপক্ষের আনা কাপড় পছন্দ না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বর মো. সজিবসহ বরপক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছয়জনকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের কারণে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ভণ্ডুল হয়ে যায়।
শুক্রবার দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের সময় সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শেরে বাংলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরকালি গ্রামের মো. আবুর ছেলে মো. সজিবের সঙ্গে এক বছর আগে শাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিপার বিয়ে হয়। নারায়ণগঞ্জের একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করা সজিব শুক্রবার দুপুরে নতুন বউ তুলে আনার উদ্দেশ্যে বিয়ের শাড়ি ও অন্যান্য মালামালসহ ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শেরে বাংলা গ্রামের শ্বশুর শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে যান।
বরপক্ষের আনা কাপড় ও প্রসাধনী কনেপক্ষের পছন্দ না হওয়ায় সজিবের বড় ভাইয়ের সঙ্গে কনেপক্ষের লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। কনেপক্ষের লোকজন বরসহ তার সঙ্গীদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এতে আহত হন বর সজিব, জাহিদ, অন্তু, মো. সোহেল, ফাতেমা ও ময়না সহ আরও অনেকে। আহতদের মধ্যে ছয়জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বর সজিব অভিযোগ করে বলেন, কনেপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে। ঘটনার পর থেকে কনের বাবা শাহাবুদ্দিনসহ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। শাহাবুদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু শাহাদৎ মো. হাছনাইন পারভেজ জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সজিব
